Lok Sabha Election 2024

অন্ধ্রপ্রদেশে আসনরফা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি আর চন্দ্রবাবুর দল, সঙ্গে রইল জনসেনাও

আসনরফা চূড়ান্ত করতে অন্ধ্রের অমরাবতীতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় বিজেপি এবং টিডিপি নেতাদের মধ্যে। টিডিপি-র তরফে বৈঠকে ছিলেন দলের প্রধান চন্দ্রবাবু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

(বাঁ দিকে) অমিত শাহ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।

জোট পাকা হয়েছিল আগেই। অন্ধ্রপ্রদেশে এ বার আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। বিজেপি-টিডিপি জোটের শরিক হিসাবে লোকসভা এবং অন্ধ্রের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি (জেএসপি)-ও। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সঙ্গে অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।

Advertisement

আসনরফা চূড়ান্ত করতে অন্ধ্রের অমরাবতীতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় বিজেপি এবং টিডিপি নেতাদের মধ্যে। টিডিপি-র তরফে ছিলেন দলের প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু। বিজেপির তরফে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, দলের সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত পন্ডা। ছিলেন জেএসপি প্রধান পবনও।

বৈঠকে স্থির হয় অন্ধ্রের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে চন্দ্রবাবুর দল লড়বে ১৭টি আসনে। বিজেপি লড়বে ৬টি আসনে। আর জেএসপি পাবে দু’টি লোকসভা আসন। অন্য দিকে, ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় ১৪৪টি আসনে লড়বে টিডিপি। বিজেপি লড়বে ১০টি আসনে। আর জেএসপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ২১টি আসনে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চন্দ্রবাবু। এর পরে শুক্রবার সকালে দিল্লি পৌঁছে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেন পবন। সেখানেই সমঝোতাসূত্র তৈরি হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যায়। শনিবার শাহের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পবন। জানা যায়, শনিবারই ত্রিপাক্ষিক জোটে সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনাও প্রাথমিক ভাবে হয়ে গিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিজেপিকে বিশাখাপত্তনম (ভাইজ্যাক), বিজয়ওয়াড়া, আরাকু, রাজামুন্দ্রি, তিরুপতি এবং অন্য একটি লোকসভা আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেয় টিডিপি।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছেড়েছিল টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তারা একাই লড়াই করেছিল। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। ২০১৯ সালে একা লড়ে অন্ধ্রে লোকসভার তিনটি আসনে জিতেছিল টিডিপি। বাকি ২২টি পেয়েছিল জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিধানসভায় জগনের দল ১৫১টিতে জয় পায়। চন্দ্রবাবুর ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ২৩টি। ৬ বছর পর ফের এনডিএ-তে ফিরেছেন চন্দ্রবাবু। এ বার তিন দলের জোট মুখ্যমন্ত্রী জগনকে বেগ দিতে পারে বলে ভোট-পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন