Lok Sabha Election 2024

সংরক্ষণ বাতিল করবে না বিজেপি, আশ্বাস শাহের

দেশ জুড়ে প্রথম দফা নির্বাচনের দিনে, গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে নিজের মনোনয়ন জমা দেন অমিত শাহ। গত বারও ওই আসন থেকে জিতে প্রথম বার লোকসভায় গিয়েছিলেন শাহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

চলতি লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৪০০ আসন পাওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, তার সঙ্গে সংবিধান পরিবর্তন করে তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ বাতিল করার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিল করার প্রশ্নই ওঠে না।

Advertisement

আজ দেশ জুড়ে প্রথম দফা নির্বাচনের দিনে, গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে নিজের মনোনয়ন জমা দেন অমিত শাহ। গত বারও ওই আসন থেকে জিতে প্রথম বার লোকসভায় গিয়েছিলেন শাহ। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানান, ৪০০ আসন পাওয়ার সঙ্গে সংবিধান পরিবর্তনের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে সঙ্ঘ পরিবার সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। বিরোধীদের মতে, সেই কারণেই ৪০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। যাতে সংবিধানে সংরক্ষণ সংক্রান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।

শাহের পাল্টা যুক্তি, ‘‘বিরোধীরা ভুলে যাচ্ছেন, ২০১৪ সালে এনডিএ-র যা সদস্য সংখ্যা ছিল, তা সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট ছিল। আর ২০১৯ সালে বিজেপি একাই নিজের শক্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তার পরেও বিজেপি সংরক্ষণ নীতি পাল্টানোর চেষ্টা করেনি।

Advertisement

দেশের ভোটারদের অর্ধেকের বেশি ওবিসি সমাজের। বিজেপি তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে বিরোধীদের ধারাবাহিক প্রচার ইতিমধ্যেই আশঙ্কা তৈরি করেছে তাঁদের মধ্যে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের। সেই কারণে ধোঁয়াশা কাটাতে আজ তৎপর হন শাহ। বলেন, ‘‘বিরোধীরা বলছেন, সংবিধানে যে সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে তা তুলে দিতেই চারশো আসনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, চারশো আসনের সঙ্গে সংবিধান বা সংবিধানে থাকা সংরক্ষণ নীতির পাল্টানোর সম্ভাবনা নেই। বিজেপি সংরক্ষণের পক্ষে। কোনও ভাবেই সংরক্ষণের সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে না এবং কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। জনতার প্রতি বিজেপির দায়বদ্ধতা রয়েছে।’’

সংরক্ষণ ছাড়াও নির্বাচনী বন্ড সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেওয়ায় বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। নির্বাচনী বন্ডকে বিশ্বের সব থেকে বড় তোলাবাজি প্রকল্প বলে সরব রাহুল গান্ধী। আজ শাহ বলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ডের টাকা তো কংগ্রেসও পেয়েছে। তা হলে কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বীকার করে নিন, তাঁদের দলও তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি ও কংগ্রেসের যে সংখ্যায় সাংসদ রয়েছে, সেই অনুপাতে অনুদানকে ভাগ করলে দেখা যাবে, কংগ্রেস আনুপাতিক হারে অনেক বেশি অনুদান পেয়েছে বিজেপির চেয়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন