Lok Sabha Election 2024

ভয়ের আবহ নেই তো? খোঁজ বাহিনীর

জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হবে না, টহলদারি চালানো হবে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩৮
Share:

জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারী, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশও। ছবি সন্দীপ পাল।

Advertisement

বিধানসভা, লোকসভায় ভোট দিতে পেরেছিলেন তো? নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন? কোনও ভয়-ভীতি নেই তো? এ বার কেউ ভয় দেখাচ্ছে নাকি? প্রশ্ন করে চলেছেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত, তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল দল। শনিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৭৩ মোড় থেকে বাহাদুর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে টহলদারি চালানো হল। ভোটে কোনও ভয়ের বাতাবরণ ছিল কি না, বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইল পুলিশ। উত্তরে বাসিন্দাদের কেউই নিজের ভোট দিতে না পারা বা ভয় দেখানোর অভিযোগ করেননি। এক বাসিন্দা দাবি করেছেন, তিনি শুনেছেন কোথাও কোথাও বাসিন্দারা নাকি ভোট দিতে পারেননি। শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় বাহিনীর টহল।

জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হবে না, টহলদারি চালানো হবে। প্রতিটি থানা এলাকায় বুথ চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি চলবে।” জলপাইগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বলের যে কোম্পানি এসেছে তার ইনস্পেক্টর মেদিনী বোর শইকিয়া বলেন, “পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টহলদারি চলছে। নিরাপদ পরিবেশে যাতে ভোট হয়, তা নিশ্চিত করা আমাদের কাজ।“

Advertisement

জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে এমনটা আগে কখনও হয়নি। বাহিনী এসে স্কুল-কলেজে থাকছে, পড়াশোনারও সমস্যা হচ্ছে।” শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর জেলা সম্পাদক প্রসেনজিত রায় বলেন, “মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পরে সবে স্কুল খুলেছে, এখনই ফের স্কুল বন্ধ হলে পড়ুয়াদের স্কুলে আসার প্রবণতাই কমে যেতে পারে, স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়তে পারে। বাহিনী স্কুল ছাড়া, অন্য কোথাও রাখা হোক।”

বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর কটাক্ষ, “ছাপ্পা, হুমকি বন্ধ হবে সেই ভয় থেকেই তৃণমূল বাহিনী নিয়ে নানা আপত্তি তুলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন