Lok Sabha Election 2024

টহল শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর

রবিবার সকালে বনগাঁ থানার মণিগ্রাম, গাইঘাটা থানার জলেশ্বর, গোপালনগর থানার গোপালনগর বাজার এলাকা, বাগদা থানার বাজিতপুর, করঙ্গ, পেট্রাপোল থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। হাবড়ায় রবিবার। ছবি: সুজিত দুয়ারি  

শনিবার থেকেই দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা শুরু হয়ে গিয়েছে দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার বিভিন্ন এলাকায় তাদের রুটমার্চ করতেও দেখা গেল।

Advertisement

অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন আগাম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা। এর মধ্যে বারাসত- বনগাঁয় তিন কোম্পানি করে, ব্যারাকপুরে ছয় কোম্পানি, বসিরহাটে পাঁচ কোম্পানি, বিধাননগরে চার কোম্পানি কোন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানানো হয়েছে।দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নয় কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা ঘোষণা করেছে কমিশন। ‘অতিস্পর্শকাতর বুথ’ এলাকাগুলিতে বার বার রুটমার্চ করতে বলা হয়েছে বাহিনীকে।

রবিবার সকালে বনগাঁ থানার মণিগ্রাম, গাইঘাটা থানার জলেশ্বর, গোপালনগর থানার গোপালনগর বাজার এলাকা, বাগদা থানার বাজিতপুর, করঙ্গ, পেট্রাপোল থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছে। হাবড়ার পৃথিবা, আমডাঙা, দত্তপুকুর ও দেগঙ্গা থানা এলাকারও বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরেছে। তবে, সন্দেশখালিতে রবিবার পর্যন্ত বাহিনীর টহল শুরু হয়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই বাহিনী সন্দেশখালি পৌঁছবে। সোমবার থেকে টহল শুরু হবে। তবে, বসিরহাটের ভ্যাবলায় রুটমার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও বেশ কিছু এলাকায় রবিবার রাতে বাহিনী পৌঁছনোর কথা। ভোটের আগে এলাকায় নিয়মিত টহল চলবে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। ব্যারাকপুরে এক কোম্পানি বাহিনী এ দিন টহল দিয়েছে।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর যাতে অশান্ত না হয় সেই বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক আছে। বাহিনী রুটমার্চ শুরু করেছে। থানাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’ রবিবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছে আরও তিন কোম্পানি বাহিনী। শনিবার সকালেই লেদার কমপ্লেক্স থানায় পৌঁছে গিয়েছিল এক কোম্পানি বাহিনী। তারা টহল দিল ভাঙড়ের ‘স্পর্শকাতর’ গ্রামগুলিতে। ভাঁটিপোতা, হুদেরআইট গ্রামে রুটমার্চের সময় ভোটারদের সঙ্গেও কথা বলেন জওয়ানরা।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও টহল দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টহল দিতে দেখে ভরসা পাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। মণিগ্রামের এক মহিলার কথায়, “আমাদের এখানে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখিনি। এখানে কখনও ভোটে অশান্তি হয়নি। তবে বাহিনীকে দেখে ভরসা পাচ্ছি।” বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “বনগাঁ পুলিশ জেলায় ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পেয়েছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার থেকে সমস্ত থানা এলাকায় রুটমার্চ শুরু হয়েছে।”

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “শান্ত বনগাঁকে ভোট ঘোষণার আগেই অশান্ত করতে গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এতে শান্তিপ্রিয় মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন।” বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের পাল্টা দাবি, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে মানুষ ভরসা পাচ্ছেন। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে, কারণ এর ফলে ওরা ভোট লুট করতে পারবে না। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্র পাঠায়নি। নির্বাচন কমিশন পাঠিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন