Lok Sabha Election 2024

কাজিয়া রুখতে নাজেহাল হুগলি বিজেপি, কর্মীদের ক্ষোভ সামলাতে আসরে লকেট, ভাইরাল ভিডিয়ো

দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, লকেট কি তা হলে অন্য কোনও দলের কর্মীদের সামাল দিচ্ছিলেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ২২:০৫
Share:

লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী, হুগলি লোকসভা কেন্দ্র। — ফাইল চিত্র।

ভোটের ঠিক আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নাজেহাল হুগলি বিজেপি। প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সামনেই তুমুল স্লোগান। সামাল দেওয়ার চেষ্টা লকেটের। ভাইরাল হয়েছে সেই সময়ের বলে দাবি করা একটি ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়ায় বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা অফিসে সপ্তগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বুথ সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে নতুন একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়। যেখানে ভোটের দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিজেপির বুথ সভাপতিদের কয়েক জন। সেই থেকে শুরু গোলমালের। যার রেশ এসে পড়ল শুক্রবার লকেটের বৈঠকেও।

শুক্রবারের বৈঠকে লকেটের সামনেই নিজেদের অসন্তোষ ব্যক্ত করতে থাকেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। স্লোগান ওঠে মুহুর্মুহু। তুমুল হট্টগোল থামাতে আসরে নামতে হয় লকেটকে। সেই সময়ের বলে দাবি করে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লকেট কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলছেন, ‘‘কাউকে কোথাও সরানো হবে না ভাই। সমস্যা আছে, সব কিছু হবে ভোটের পরে। কে ভাল করে মোদীজির জন্য কাজ করছে, প্রার্থীর জন্য কাজ করছে, সেটাই প্রথম। এখন কাউকে সরানো হবে না। তার পরেও যদি কারও কিছু মনে হয়, সে যা যা ক্ষতি করবার, একদম দু’হাত তুলে ক্ষতি করতে পার তোমরা। যদি মনে কর, দু’হাত তুলে ক্ষতি করো। সব সমস্যার সমাধান এঁরা করবেন বলেছেন। কিন্তু এই সময় চিৎকার, চেঁচামেচি যদি হয়ে থাকে, এগুলি বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা আমরা নিজেরাই করে দিচ্ছি। ভিডিয়ো করে সব বাইরে পাঠাবো, মিডিয়াকে পাঠাবো।...’’

Advertisement

তবে, লকেট ভিডিয়ো বাইরে বেরনো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও সেই ভিডিয়োই রমরমিয়ে ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। যা দেখে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, যাঁকে লকেট চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন, তাঁর বিরুদ্ধে সরব ওঁদের দলেরই লোকজন। চোর তো আসলে ওঁদেরই নেতৃত্ব!’’

বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কী হয়েছে সেটা তৃণমূল জানে না। ওরা নিজের মতো করে বলছে। ওরা প্রমাণ করতে পারবে জেলা সভাপতি কারও কাছে হাত পেতে চাঁদা নিয়েছেন? ক্ষোভটা কিছু নয়। আমরা নিঃস্বার্থে বিজেপি করি। সাংগঠনিক আলোচনা কী করে বাইরে বেরোল সেটা বুঝতে পারছি না। তবে, আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন