কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ছবি: সুমন বল্লভ।
শহরে ভোটের বাকি মাত্র দু’সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন ১১ জন পর্যবেক্ষক। বুধবার পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁদের কয়েক জন। সূত্রের খবর, এ দিনের ওই বৈঠকে কলকাতা পুলিশ এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য লালবাজারের অধীনে থাকা ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে অতিরিক্ত দু’টি করে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম (এফএসটি) এবং স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম (এসএসটি) রাখার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এফএসটি-র সংখ্যা ৭৬। তা বেড়ে হবে ১১৪। অন্য দিকে, গত সপ্তাহে এসএসটি-র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৯৫। পর্যবেক্ষকদের নির্দেশের পরে এ দিন থেকে সেই দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪। পুলিশের একাংশের মতে, এসএসটি যাতে সব সময়ে সক্রিয় থাকে, তার জন্য তাদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ রাখার কথা বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে এ বার ভোটের দু’দিন আগে থেকেই শহরের রাস্তায় টহল দেবে ৩৪৭টি সেক্টর মোবাইল ভ্যান। তাতে থাকবে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। এ ছাড়াও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে গঠিত কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। তবে, সেই দলটি ভোটের আগের দিন সকাল থেকে রাস্তায় নামবে।
লালবাজার জানিয়েছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের ১০টি ডিভিশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ভোটের জন্য কলকাতায় আসবে কম-বেশি ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ষষ্ঠ দফার ভোটের পরেই ওই বাহিনীর চলে আসার কথা রয়েছে। এ বারের ভোটে কলকাতা পুলিশ এলাকায় ২৮৫টি এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে আছে একটি করে বুথ। আবার দু’টি বুথ রয়েছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৬০৪টি। তিন এবং চারটি বুথ নিয়ে গঠিত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩১ ও ২৮৭টি। সর্বাধিক ১৫টি বুথ আছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্র আছে দু’টি।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, একটি বা দু’টি বুথ রয়েছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্থাৎ চার জন জওয়ান থাকবেন। তিনটি বুথ বিশিষ্ট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে থাকার কথা এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। চারটি বুথ আছে, এমন কেন্দ্রে থাকার কথা দেড় কোম্পানি বাহিনীর।