Lok Sabha Election 2024

গণতন্ত্রের উৎসবে ‘স্পেশাল মিষ্টি’, নানা প্রতীকের সন্দেশ বিক্রি হচ্ছে হাওড়ায়, দাম ১০০

প্রচারের ফাঁকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা পর্যন্ত মিষ্টি কিনতে আসছেন ওই দোকানে। নিজেরা তো সন্দেশ খাচ্ছেনই। কর্মী এবং সমর্থকদেরও মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ ১৮:০৩
Share:

হাওড়ায় বিক্রি হচ্ছে নানা প্রতীকের সন্দেশ। —নিজস্ব চিত্র।

রাজনীতিতে কোনও হিংসা নয়। রাজনীতির লক্ষ্য হোক মানুষে মানুষে ভাল সম্পর্ক। সেই এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক সম্বলিত সন্দেশ তৈরি করছেন হাওড়া ময়দানের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী। ভোটের মুখে সেই সব মিষ্টি বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। তৃতীয় দফার ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। ব্যতিক্রম নয় হাওড়াও। কলকাতার ‘যমজ শহর’ হাওড়ায় অবশ্য আগামী ২০ মে ভোট। রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার করছেন। তার মধ্যেই হাওড়ায় বাড়ছে বিভিন্ন দলীয় প্রতীক দেওয়া সন্দেশ।

Advertisement

ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। আর বাঙালির কাছে মিষ্টি ছাড়া উৎসব তো ভাবাই যায় না। তাই ভোটের আগে হাওড়ার মিষ্টির দোকান হাজির হয়েছে ‘ভোট স্পেশাল’ মিষ্টি নিয়ে। যে দলই পছন্দ করুন না কেন, নিজের পছন্দের প্রতীক দেওয়া মিষ্টি পেয়ে যাবেন। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতীক দেওয়া প্রতিটি সন্দেশের দাম ১০০ টাকা। প্রচারের ফাঁকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা পর্যন্ত মিষ্টি কিনতে আসছেন ওই দোকানে। নিজেরা তো সন্দেশ খাচ্ছেনই। কর্মী এবং সমর্থকদেরও মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। ওই মিষ্টির দোকানের মালিক সৈকত পাল বলেন, ‘‘রাজনীতি মানে হিংসা নয়। মানুষের সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টত্ব বাড়াতে এই মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই পছন্দ মতো মিষ্টি তৈরি করেছি। নেতা এবং কর্মীরা নিজেরাও খাচ্ছেন এবং অন্যদেরও খাওয়াচ্ছেন।’’

হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং হাওড়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এই মিষ্টির দোকানে দেখা গেল। তিনি নিজেও পদ্মফুল ছাপের সন্দেশ খেয়েছেন এবং কর্মীদেরও খাওয়ালেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির মধ্যে রয়েছে সন্দেশ। এই সন্দেশ মানুষে মানুষে সম্পর্ককে মিষ্টি করে। হাওড়ায় মেট্রো রেল-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এখানকার মানুষকে উন্নয়নের বার্তা দিতে চাইছেন। সেদিন খুব দূরে নেই যখন পদ্মফুলের মিষ্টি গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।’’ মধ্য হাওড়ার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের সন্দেশের বেশি বিক্রি দেখে বেশ ভাল লাগছে। জোড়া ফুল প্রতীকের সঙ্গে কর্মীদের একটা আবেগের সম্পর্ক আছে। তাই কর্মীরা এখানে এসে মিষ্টি খাচ্ছেন এবং খাওয়াচ্ছেন। ভোট মানেই তো উৎসব। তাই এই রকমের মিষ্টির আলাদা গুরুত্ব আছে দলীয় কর্মীদের কাছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন