Lok Sabha Election 2024

এ বার কি বিজেপিতে যোগ বিনয়ের, জল্পনা

দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে অবশ্য বিনয়কে নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও গেরুয়া শিবিরের একাংশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০২
Share:

বিনয় তামাং। —ফাইল চিত্র।

একের পরে এক দল বদলের পরে এ বার কি বিজেপিতে বিনয় তামাং! তামাংকে নিয়ে পাহাড়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হল। জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, তৃণমূল এবং জাতীয় কংগ্রেসের পরে পাহাড়ের গোর্খা নেতা কী করবেন তা এখন স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে সমর্থনের পরে, কংগ্রেস থেকে বিনয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র বিচলিত নন গোর্খা নেতা। বরং ভোটের পরে তিনি ছুটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘অনেক দল হল। বিজেপিতে যাচ্ছি না। বরং, শান্তিপূর্ণ কোনও এলাকায় পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাব ভাবছি।’’ তিনি জানান, ছুটির পরে ফিরে এসে, নতুন করে ভাবতে পারেন।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে অবশ্য বিনয়কে নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও গেরুয়া শিবিরের একাংশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। বিনয়ের পুরনো দল বিমল গুরুং-র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে বিনয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পাহাড়ের নেতারা মনে করেন, বিনয় ঠিক জননেতা না হলেও, যে কোনও দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। পাহাড় বা সমতল শুধু নয়, কলকাতা, দিল্লিতে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। তা ছাড়া, রাজনৈতিক কৌশলী হিসাবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। তাই জিএনএলএফে দার্জিলিং কমিটির অন্যতম নেতা, জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সম্পাদক, পরে, মোর্চার বিভাজনে এক গোষ্ঠীর সভাপতিও হন বিনয়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর সদস্য হন। দলের পুরভোটে একাধিক ভূমিকা পালন করেন। পরে, কংগ্রেস এসে পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হন।

এ বার কি তা হলে বিজেপির পাহাড়ের একাংশের হাল বিনয় ধরবেন, না পুরনো কোনও দলে ফিরবেন, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। বিনয় বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিয়ে আর ভাবছি না। এরা গোর্খাদের কথা ভাবছে না। খোঁজখবর না নিয়ে এক দল মানুষের কথায় দিল্লির দু’-তিন জন নেতা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে যা বুঝিয়েছেন, তার ফল কংগ্রেস পাবে।’’

Advertisement

বিনয়ের পুরনো দল মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের কয়েক জনের দাবি, কংগ্রেস বিনয়কে রাখতে না পেরে লোকসানই করল। এমনিতেই পাহাড়ের কংগ্রেসের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। হাতে গোনা কয়েক জন নেতা রয়েছেন। বিনয় দার্জিলিং, কালিম্পঙে পুরনো কিছু নেতা কর্মীদের সংগঠিত করেছিলেন। তাতে কংগ্রেসের অস্তিত্ব থাকছিল। মুনীশ তামাং দিল্লির নিবাসী। ভোটে হারজিতের পরে, সেখানে যাবেন। উনি সেখানে অধ্যাপনাও করেন। অজয় এডওয়ার্ড কংগ্রেস ছেড়ে, নিজের দল করবেন। আদতে কংগ্রেসের আর কিছু হবে না। বিনয় থাকলে, পাহাড়ে একটা দলের নেতার উপস্থিতি থাকত। দুই তরফে সব কিছু নিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল।

কংগ্রেসের নেতারা অবশ্য আর বিনয়কে নিয়ে ভাবতে চান না। দলের প্রার্থী মুনীশ তামাং বলেছেন, ‘‘দলীয় সিদ্ধান্তের কথা বলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ভোট নিয়ে ব্যস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন