Hemant Soren

‘হেমন্ত সোরেনকে জামিন দিতে অসুবিধা আছে কি?’ সোমবারের মধ্যে ইডির মত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার জেএমএম নেতা হেমন্ত লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১৬:৫১
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২০ মে-র মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে হবে ইডিকে। ২১ মে মামলায় শুনানি হবে।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হেমন্ত লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। সে দিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্র। তাঁর আর্জি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মতো তাঁকেও লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দেওয়া হোক।

জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল হেমন্তকে। গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছেন হেমন্ত। বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি দত্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে সেই আবেদনটিও বিচারাধীন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরীওয়ালকে লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিতে গত ১০ জুন ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হেমন্তের আইনজীবী কপিল সিব্বল সেই উদাহরণ তুলে ধরে গত ১৩ মে শুনানিতে বলেছিলেন, ‘‘আমার মক্কেলও চান লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিয়ে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক।’’ যদিও আইন বিশেষজ্ঞের একাংশের মতে কেজরীর মতো হেমন্ত কোনও দলের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান নন। তাই তাঁর ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে শীর্ষ আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন