শাসন থানার সামনে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। — নিজস্ব চিত্র।
পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার শাসন। অভিযোগ, আইএসএফের পতাকা ছিঁড়ে দেন এক তৃণমূল কর্মী। তা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। গোলমাল চলাকালীনই শাসন থানার সামনে পৌঁছন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
বসিরহাট লোকসভার প্রার্থীর সমর্থনে নওশাদের সভা। সেই উপলক্ষে খড়িবাড়ি বাজারে আইএসএফের পোস্টার এবং পতাকা লাগাচ্ছিল কীর্তিপুর ১ নম্বর অঞ্চল আইএসএফ কমিটি। অভিযোগ, সেই সময় এক তৃণমূল কর্মী এসে এক যুবককে পতাকা লাগাতে বাধা দেন। জানা যায়, ওই তৃণমূল কর্মী এবং আইএসএফ কর্মী সম্পর্কে দুই ভাই। বাধা পেয়ে দাদার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ভাই। বচসা গড়ায় মারপিটে। ভাইয়ে-ভাইয়ে মারপিটের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
যদিও পতাকা লাগানো নিয়ে গোলমালের কথা মানতে চাননি এলাকার আইএসএফ সভাপতি। কীর্তিপুর ১-এর আইএসএফ সভাপতি মহম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘‘এক ভাই তৃণমূল করে, অন্য ভাই আইএসএফ করে। ভাইকে টানাহ্যাঁচড়া করে নিয়ে গিয়েছে। পতাকা লাগানো নিয়ে কোনও সমস্যা এখনও পর্যন্ত দেখিনি। তবে, চাপ আছে। আশা করছি, কোনও ঝামেলা হবে না। ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝামেলা হয়েছে।’’
গোলমাল চলাকালীন এলাকায় চলে আসেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রকম প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না। সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে এখানে সভা করার অনুমতি পেয়েছিলাম। তৃণমূলের গুন্ডা, মস্তান, তোলাবাজেরা আমাদের সভা করতে দেয়নি। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কর্মসূচি জারি রাখতে চাই, সে জন্য কথা বলতে চেয়েছিলাম। প্রশাসন আমাদের বলল, থানায় আসতে। আমি থানায় গিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে কথা বলছি। আপনারা কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’ থানায় এক পুলিশকর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন নওশাদ।
এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেই তা এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।