Lok Sabha Election 2024

‘বিক্ষুব্ধ’ তিন নেতাকে মার, তৃণমূলের প্রচারে শোরগোল

প্রহৃত উত্তম কোলে, উত্তম রায় এবং হারু সাঁতরা স্থানীয় আশপুর এলাকার নেতা। উত্তমের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল গ্রামের প্রার্থীকে মনোনীত না করায় তাঁরা এক জন নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অশান্তির আবহে শুরু হল গোঘাটে তৃণমূলের ভোট প্রচার। আরামবাগের দলীয় প্রার্থী মিতালি বাগকে স্বাগত জানাতে আসা ‘বিক্ষুব্ধ’ তিন নেতাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গোঘাট ২ ব্লকের কুমারগঞ্জ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সাদরুদ্দোজা ওরফে রাহুলের বিরুদ্ধে। বুধবার কুমারগঞ্জের শালিকোনায় রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে প্রার্থী আসার আগেই। রাহুল অভিযোগ মানেননি।

Advertisement

প্রহৃত উত্তম কোলে, উত্তম রায় এবং হারু সাঁতরা স্থানীয় আশপুর এলাকার নেতা। উত্তমের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল গ্রামের প্রার্থীকে মনোনীত না করায় তাঁরা এক জন নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান। সেই প্রার্থীই জেতেন। তবে তাঁরা
কেউ তৃণমূল ছাড়েননি। উত্তমের অভিযোগ, ‘‘নির্দলকে সমর্থন করার কথা তুলে রাহুল আমাদের চড়থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।’’ তাঁদের খেদ, দলের ব্লক এবং আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সামনেই ওই ঘটনা ঘটলেও কেউ জোরালো প্রতিবাদ করেননি। একই অভিযোগ উত্তম রায় এবং হারুরও। ঘটনার জেরে তাঁদের সঙ্গে যাওয়া কিছু দলীয় কর্মীও কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে ফিরে যান বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

রাহুলের দাবি, ‘‘কথা কাটাকাটি হয়েছে। মাররধরের অভিযোগ অসত্য।’’ যদিও দলের ব্লক সহ-সভাপতি মোহন মণ্ডল বলেন, ‘‘খুবই অন্যায় করেছেন রাহুল। চোখের সামনে ঘটনা ঘটলেও বড় অশান্তির আশঙ্কায় জোরালো প্রতিবাদ করতে পারিনি। তবে প্রার্থী আসার পরেই আমিও ওই কর্মসূচি থেকে চলে এসেছি।’’ মোহনের আরও বক্তব্য, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওই তিন নেতা দলে রয়েছেন। মানুষ তাঁদের কথা শুনেই নির্দল প্রার্থীকে জিতিয়েছেন। তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ায় মানুষের কাছে
ভুল বার্তা গিয়েছে। মোহনের দাবি, ‘‘প্রার্থীর কথা শুনে আমিই ওঁদের এখানে আসতে বলেছিলাম দলে যোগদানের জন্য।’’

Advertisement

গোটা বিষয়টি নিয়ে মিতালির প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রচার কর্মসূচিতে কোনও অশান্তির খবর আমার কাছে নেই। যোগাদান করানো নিয়ে
আমার তরফে কিছু বলা হয়নি।
বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব দেখেন।’’

গোলমালের সময় ঘটনাস্থলে থাকলেও মারধরের বিষয়টি সরাসরি দেখেননি বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের একাধিক ব্লক ও জেলা নেতা। দলের জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায় বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থী মন্দিরেও পুজো দেওয়ার পরে কোন এলাকায় প্রচারে আগে যাবেন তা নিয়ে মতানৈক্য হয়। সেটি আমরা তখনই মিটিয়ে দিই। ব্লক সভাপতি সৌমেন দিগারকে রাতেই বসে সার্বিক বিষয়টি মেটাতে বলা হয়েছে।’’

গোঘাট বিধানসভায় এ দিন মিতালির ‘বাংলার অধিকার যাত্রা’ কর্মসূচি ছিল। দলের নির্ঘন্ট অনুযায়ী সকালে শালিকোনায় রামমন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি প্রচার শুরু করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন