Lok Sabha Election 2024

কৃষ্ণের কাছাকাছি কানাইয়া, করিমও

তৃণমূলের অন্দরের খবর, এক দিকে ইসলামপুরে করিমের গোষ্ঠীর সঙ্গে কানাইয়ার গোষ্ঠীর ‘চাপা বিরোধ’ ও অন্য দিকে, কানাইয়াকে প্রার্থী না করায় তাঁর অনুগামীদের একাংশের হতাশা।

Advertisement

অভিজিৎ পাল , গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ, ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

নিজস্ব চিত্র।

দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্বে’ দীর্ঘ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে সরে ছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। বুধবার সেই কানাইয়াকে পাশে নিয়ে ইসলামপুরের নানা এলাকায় রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে প্রচার চালালেন করিম। সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণও। প্রচারের ফাঁকে এ দিন গাড়ির পিছনের আসনে কানাইয়ার পাশে বসে করিম বলেন, “আমরা সকলেই এক হয়ে গিয়েছি। আমাদের ভিতরে যত বিবাদ ও মনোমালিন্য রয়েছে, তা ভুলে যেতে হবে বলে সবাইকে বলেছি। রায়গঞ্জ আসন আমাদের জিততে হবে।”

Advertisement

বস্তুত, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কানাইয়াকে প্রার্থী না করায় কার্যত ‘হতাশ’ হয়ে পড়েছিলেন কানাইয়ার অনুগামীরা। এ দিন কানাইয়া ও কৃষ্ণর দাবি, দলে ‘দ্বন্দ্ব’ নেই। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এক দিকে ইসলামপুরে করিমের গোষ্ঠীর সঙ্গে কানাইয়ার গোষ্ঠীর ‘চাপা বিরোধ’ ও অন্য দিকে, কানাইয়াকে প্রার্থী না করায় তাঁর অনুগামীদের একাংশের হতাশা। পাশাপাশি, এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসের জোটপ্রার্থী চাকুলিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) হতে পারেন। এই তিন কারণে ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়ার একটি বড় অংশের সংখ্যালঘু ভোটার তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন বলে দলে ‘আশঙ্কা’ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দলের কর্মীদের তৃণমূল প্রার্থীকে মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেলের রাজ্য সভাপতি ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। রায়গঞ্জ-সহ রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী যাচাইয়ের ক্ষমতা আমাদের নেই। তৃণমূলের প্রতীক যিনি পেয়েছেন, তাঁর সমর্থনেই আমাদের কাজ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে দলের কর্মীদের এ কথাই বলেছি।”

বছরখানেক আগে কানাইয়ালাল ঘনিষ্ঠ ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামেন করিম। তার পরেও শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ‘গুরুত্ব’ না পেয়ে নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, ৩০ জানুয়ারি রায়গঞ্জে সরকারি জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সিনিয়র লিডার’ বলে উল্লেখ করে করিমকে কানাইয়া-সহ জেলায় দলের সবার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। তাতেই তাঁর ‘মান’ ভাঙে বলে করিমের দাবি। এ দিন কানাইয়ার সঙ্গে কৃষ্ণর সমর্থনে করিম ইসলামপুরে কোথাও হুডখোলা গাড়িতে, কোথাও হেঁটে প্রচার চালান। প্রচারে শামিল হন জাকিরও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন