Lok Sabha Election 2024

ইউসুফ পাঠানকে ঘিরে ‘চিন্তা’য় শাসক দল

বিজেপি আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। গোটা এলাকাতেই নানা জায়গায় দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যাচ্ছেন।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৫
Share:

ইউসুফ পাঠানের দেওয়াল লেেখন। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। তার পরে ভোটের নির্ঘণ্টও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বহরমপুরে তৃণমূলের প্রার্থী জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান কবে নির্বাচনী এলাকায় আসবেন, তা নিয়ে সংশয় কাটছে না। ইউসুফ সম্পর্কে ‘পরিযায়ী প্রার্থী’ বলে মন্তব্য করছেন শাসক দলেরই একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রার্তী ঘোষণার পরে প্রায় দশ দিন হতে চলল, তিনি আসেননি। আবার ভোট যদি জেতেনও নিয়মিত তাঁর দেখা মিলবে তো? এক নেতা বলেন, ‘‘ইউসুফ যেন পরিযায়ী নেতা।’’

Advertisement

বিজেপি আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। গোটা এলাকাতেই নানা জায়গায় দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যাচ্ছেন। খাস বহরমপুরে তিনি মোটরবাইকে করে রাস্তা পরিক্রমা করেছেন। সেখানে তাঁর দলীয় কর্মীদের মধ্যে অনেকের মাথায় হেলমেট দেখা না যাওয়ায় তা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। কিন্তু খোদ ইউসুফ পাঠানকে না পেয়ে তাঁকে নিয়েও বিতর্ক কম হচ্ছে না। তৃণমূলের কিছু কর্মীদের দাবি প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ ভাল হলেও স্থানীয় স্তরে প্রার্থী করলে টানা পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই ভাল হত। জেলার শীর্ষ স্থানীয় কিছু নেতারও একই দাবি। যদিও জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোট কোনও ভাবেই খারাপ হবে না। যারা প্রকৃত তৃণমূলকে ভালবেসে দলটা করেন, তাঁরা সকলেই দলের হয়ে ভোট করবে।”

গুজরাতের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে জেলা স্তরের কোনও নেতা এখনও প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইউসুফের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করলেও দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হুমায়ুন। একই সঙ্গে দলের নিচুতলার কর্মীরা কোনও রাখঢাক না করেই বলছেন, “জেলাতে কি এক জন ব্যক্তিও নেই যাঁকে এ বারের প্রার্থী করা যেত। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে আসার বিষয়ে বিবেচনা করতে দেখতে পারতেন।” কর্মীরা দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেছেন ইউসুফ পাঠানের হয়ে। কিন্তু তাঁদের কথায়, “দলটা করি তাই ‘বাধ্য’ হয়ে দেওয়াল লিখতে হচ্ছে। কিন্তু মন চাইছে না।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন