Lok Sabha Election 2024

অধীরের হাতে ‘চড় খাওয়া’ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ইউসুফ, কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা কী বললেন পাঠান?

শনিবার সকালে অধীরের বিরুদ্ধে ভোটপ্রচার চলাকালীন এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫০
Share:

অধীর চৌধুরী এবং ইউসুফ পাঠান। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সেই দলীয় কর্মীর বাড়ি গেলেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। সেখান থেকে অধীরকে নিশানাও করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। বলেছেন, ‘‘এক জন সাংসদ হিসেবে জবাব দেওয়াটা দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ভাইরাল ভিডিয়ো আমি দেখেছি। খুবই খারাপ লেগেছে। যে ভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, ওর তো কোনও ভুল ছিল না। কোনও ভুল থাকলেও ধাক্কা দেওয়া ঠিক হয়নি।’’

Advertisement

শনিবার সকালে অধীরের বিরুদ্ধে ভোটপ্রচার চলাকালীন এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিসে জমায়েত হন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। চলে স্লোগান, বিক্ষোভ। এর পর রবিবার সেই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গেলেন ইউসুফ। সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। ইউসুফ বলেন, ‘‘যেটা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। সকলের প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে। কেউ প্রশ্ন করলে, নেতার দায়িত্ব সেটার জবাব দেওয়া। প্রশ্ন করার যেমন অধিকার, জবাব দেওয়াটাও কর্তব্য।’’

শনিবার ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অধীরকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ দিতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দেন তিনি। তাঁকে ধাক্কা দেন। চড়ও মারেন। অন্য দিকে, গন্ডগোলের খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায়। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে তারা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে শাসকদল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিকাশ সামন্ত নামে এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, ‘‘অধীর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে এসে এক জনের গায়ে হাত তোলেন। ওঁর কোনও অধিকার নেই এক জনের গায়ে হাত তোলার। ওঁকে ভুল স্বীকার করতে হবে।’’

Advertisement

পাল্টা কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ করেন, পরিকল্পনা করে তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। তিনি কটাক্ষের সুরে বিক্ষোভকারীদের ‘চুল্লুখোর’ বলে আক্রমণ করেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। জানান, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেরও নজরে আনবেন। অধীর বলেন, ‘‘তৃণমূল ওদের চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে, তা মানব কেন? নেশা করে ‘গো ব্যাক’ বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।’’

এই গন্ডগোল নিয়ে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গান্ধী কলোনির মতো জায়গায় যেখানে এক সময় অধীর চৌধুরীকে ‘মসিহা’ মনে করতেন মানুষজন, সেখানে আজ তিনি বিক্ষোভের মুখে। তাই অধীর চৌধুরীর জনভিত্তি শুধু তলানিতে নয়, মাটিতে মিশে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন