রাসবিহারীর উন্নতির জন্য কাজ করেছি

রাসবিহারী বিধানসভায় ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই নির্বাচনে তাঁর দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন।

Advertisement

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৩
Share:

রাসবিহারী বিধানসভায় ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হওয়ার গৌরব অর্জন করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এই নির্বাচনে তাঁর দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের পর ৮১, ৮৯, ৯০ ও ৯৩ ওয়ার্ড রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ৮৫ নং ওয়ার্ড বালিগঞ্জ কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।

Advertisement

আমার এই কেন্দ্রের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় স্কুল, কলেজ, ক্লাব এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করেছি। রাস্তার আলো, উঁচু বাতিস্তম্ভ, পানীয় জল, ফুটপাথ এবং ড্রেন সংস্কারে অর্থ দিয়েছি। সুলভ শৌচালয় তৈরি করে মানুষের সেবা করেছি। কালীঘাট মন্দিরের গেট এবং মন্দিরের চাতালে আলোর ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি বড় রাস্তায় যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাসস্ট্যান্ড তৈরি করেছি। কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সংস্কার ও অন্যান্য কাজে অর্থসাহায্য করার সুযোগ পেয়েছি। রবীন্দ্রচর্চা ভবন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, বিবেকানন্দ নারী কর্মমন্দির, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন মাতৃভবন, যোগেশ মাইম অকাদেমি, লাইট হাউস ফর দি ব্লাইন্ড, হরিজন কল্যাণ সঙ্ঘ সেই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম। মৃতদেহ বহন করার গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছি বিভিন্ন ক্লাবকে। কয়েকটি ক্লাবে মাল্টিজিম দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। রাজ্যে ক্রীড়া ও পূর্ত দফতরের সাহায্যে প্রায় ৩৫টি ক্লাবকে অর্থসাহায্যের ব্যবস্থা করেছি।

বিগত পাঁচ বছরে রাসবিহারী বিধানসভার জন্য বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজের মাধ্যমে খরচ করতে সক্ষম হয়েছি। এলাকার উন্নয়নের কিছু তথ্য নীচে তুলে ধরছি। আমার এলাকার মানুষের জ্ঞাতার্থে।

Advertisement

দু’টি হেলথ কেয়ার ইউনিট ৩ লক্ষ ২০ হাজার

পথনির্দেশ(লেক গার্ডেন্স) ২ লক্ষ ২৫ হাজার

দু’টি সুলভ শৌচালয় ১১ লক্ষ ৮০ হাজার

একটি মেডিক্যাল বেনিফিট স্কিম ১ লক্ষ

লাইট হাউস ফর ব্লাইন্ড কে একটি বাস প্রদান ১২ লক্ষ ৮৩ হাজার

কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার জন্য তোরণ ৭ লক্ষ

রাস্তার বাগান ও সৌন্দর্যায়ন ৪ লক্ষ

একটি শববাহী গাড়ি ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার

একটি এয়ারকন্ডিশনড অ্যাম্বুল্যান্স ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার

বস্তি উন্নয়ন ১ লক্ষ

১৯টি বাসস্ট্যান্ড ৬৫ লক্ষ ৭৯ হাজার

রাস্তায় সাদা আলো ও ত্রিফলা আলো ৭৯ লক্ষ ১৫ হাজার

পানীয় জলের জন্য ২১ লক্ষ

উঁচু ১১টি বাতিস্তম্ভ ৪৯লক্ষ ৯০ হাজার

শিক্ষা ১৩ লক্ষ ৭৪ হাজার (যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে ইলেকট্রনিক্স নোটিস বোর্ড সমেত)

পুকুর সংস্কার ৭ লক্ষ

ফুটপাথের সংস্কার ৭ লক্ষ

পুকুর সংস্কার ২ লক্ষ

ফুটপাথের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন ১৪ লক্ষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন