মানুষই স্থির করে নেবেন কোনটা গ্রহণীয়, বর্জনীয়ই বা কোনটা

এক অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়া‌ই করতে গিয়ে আর এক অসহিষ্ণুতার পথ নিচ্ছি আমরা? যাদবপুরে ‘বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম’ ফিল্মের প্রদর্শন প্রসঙ্গে যে কাণ্ডটা হয়ে গেল, সে প্রসঙ্গে এ কথা বলা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা রইল না।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

এক অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়া‌ই করতে গিয়ে আর এক অসহিষ্ণুতার পথ নিচ্ছি আমরা? যাদবপুরে ‘বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম’ ফিল্মের প্রদর্শন প্রসঙ্গে যে কাণ্ডটা হয়ে গেল, সে প্রসঙ্গে এ কথা বলা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা রইল না।

Advertisement

এই ফিল্মের পরিকল্পনা, পরিচালক, অভিনেতা প্রসঙ্গে কারও কোনও মত থাকতেই পারে। ঠিক ভুল যাই হোক, এই মতও হতে পারে, এরা অসহিষ্ণুতার সাধক। কিন্তু এই ফিল্ম সেই পথে কি না, সেটা গ্রহণযোগ্য কি না, তা বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত মানুষের উপরে। তার বদলে কী করলেন যাদবপুরের পড়ুয়াদের একটা অংশ? তাঁরাই স্থির করে দিলেন, এ ফিল্ম প্রদর্শনযোগ্য নয়। এবং অবধারিত ভাবে সেই পুরনো প্রশ্নটাকেই আবার সামনে নিয়ে এলেন। তাঁরা স্থির করার কে? সমাপতন এটাই যে, ঠিক এই প্রশ্নের মুখেই বার বার পড়ে থাকে সঙ্ঘ পরিবার।

এ গণতন্ত্র খোলা হাওয়া চায়। যে খোলা হাওয়ায় মানুষই স্থির করে নেবেন গ্রহণীয় কোনটা, বর্জনীয়ই বা কোনটা। ভ্রম রোখার নামে জানলা বন্ধ করে দিলে খোলা হাওয়ার পথটাকেও যে আটকে দেওয়া হয়, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে তাঁরই বলে যাওয়া এই আর্ষবাক্যটাকে স্মরণ করতে বাধা কোথায়? আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যাদবপুরের পড়ুয়াদের অধিকাংশ এই পথেরই পথিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement