মমতা এখন বিজেপির ঘনিষ্ঠ। তবে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে যদি কখনও তিনি ফিরতে চান, তাহলে কংগ্রেস-সিপিএম তাঁকেও সঙ্গে নেবে। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনই বললেন অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মতে, সিপিএম হল কংগ্রেসের স্বাভাবিক মিত্র। অধীরের কথায়, ‘‘ভারতের রাজনীতি এখন যে পথে এগোচ্ছে, তাতে লড়াই দুটো শিবিরের মধ্যে। একটা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সাম্প্রদায়িক শক্তি। আর একটা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। এই লড়াইতে সিপিএম আমাদের স্বাভাবিক বন্ধু।’’
সিপিএমের সঙ্গে পুরনো তিক্ততা এখন অতীত মুর্শিদাবাদের ‘রবিনহুড’-এর কাছে। বললেন, ‘‘নিচের তলায় হয়তো আমাদের সঙ্গে দূরত্ব থাকতে পারে, লড়াই থাকতে পারে, তা সত্ত্বেও তো ইউপিএ-১ সরকার হয়েছিল।’’ আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে বাম-কংগ্রেস যে ফের হাত ধরে চলবে, তা বেশ স্পষ্ট করেই বলে দিলেন অধীরবাবু। বাংলার লড়াইতে জোট কতটা সাফল্য পেল, শুধুমাত্র তার উপরে এই জোটের ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল নয়। দাবি অধীর চৌধুরীর।
জাতীয় রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরে থাকার কারণেই যদি বাম-কংগ্রেসের জোট দীর্ঘমেয়াদি হয়ে উঠতে পারে, তা হলে এই জোটে মমতার সামিল হওয়ার সম্ভাবনাও তো রয়েছে। অধীর বললেন, ‘‘অস্বীকার করছি না। তিনি তো ইউপিএ-২ সরকারে ছিলেনও। কিন্তু এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছাকাছি। তিনি মোদী সরকারের সমালোচনা করতে ভীত, দ্বিধাগ্রস্ত। মোদী-দিদি আঁতাঁত যে রয়েছে, বাংলার মানুষের কাছে তা আরও স্পষ্ট।’’ যদি কখনও বিজেপি-র শিবির ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা, কংগ্রেস কি সিপিএম-কে ছেড়ে মমতার হাত ধরবে? অধীর সতর্ক এ বার। বুঝিয়ে দিলেন মমতার হাত ধরার জন্য সিপিএম-কে দূরে ঠেলার প্রশ্নই ওঠে না। বললেন, ‘‘যদি কখনও তাঁর (মমতার) মতি পরিবর্তন হয়, তা হলে সেই জোটে (বাম-কংগ্রেস) তিনিও আসতে পারেন।’’
বলেন কী অধীরবাবু! কংগ্রেসের জোটে সিপিএম, সেই জোটে তৃণমূলও! সে তো অসাধারণ ছবি হবে। মুচকি হেসে অধীরের জবাব, ‘‘হ্যাঁ, অসাধারণই হবে।’’
দেখুন ভিডিও