অধীরের সঙ্গে ‘মতবিরোধ’ আছে, তবে মমতার নাম মুখেও আনেন না তিনি

একই দিনে মন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁরা দু’জনে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। ‘অহি-নকুল’ সম্পর্কের প্রশ্নই ওঠে না। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপা দাশমুন্সি বললেন, ‘‘অধীর চৌধুরী আর আমি রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৬ ১১:০২
Share:

একই দিনে মন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁরা দু’জনে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। ‘অহি-নকুল’ সম্পর্কের প্রশ্নই ওঠে না। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপা দাশমুন্সি বললেন, ‘‘অধীর চৌধুরী আর আমি রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’’

Advertisement

কংগ্রেসি রাজনীতিতে নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সঙ্ঘাত একেবারেই বিরল ঘটনা নয়। বিধান ভবনের আশেপাশে কান পাতলে শোনা যায়, প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতির সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীর ব্যক্তিত্বের সঙ্ঘাত নাকি সাংঘাতিক। অধীর চৌধুরী নাকি কিছুতেই চান না, দীপা দাশমুন্সির উত্থান। দীপারও নাকি অধীরে ঘোর অ্যালার্জি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস জোটের জবরদস্ত বাজি দীপা আমলই দিচ্ছেন না এ সব জল্পনায়। বললেন, ‘‘দু’জনে একই দল করব, একই পথে চলব, একই হাইকম্যান্ডকে মেনে চলব, অথচ অহি-নকুলের মতো লড়াই করব, তা আবার হয় নাকি।’’ তা হলে অধীর-দীপা সঙ্ঘাত নিয়ে এত কানাঘুষোর সবই কি মিথ্যা? দীপার ব্যাখ্যা, মতবিরোধ থাকতে পারে, একটা নির্দিষ্ট ইস্যুতে দু’জনের অবস্থানের সাংঘাতিক ফারাক থাকতে পারে, তর্ক হতে পারে, কিন্তু শত্রুতার প্রশ্ন উঠতেই পারে না।

প্রশ্ন ছিল, ভবানীপুরে দীপা দাশমুন্সি হারলে কে বেশি খুশি হবেন, অধীর না মমতা? দীপা উত্তর দিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা এ বারেও উচ্চারণ করলেন না। বললেন, ‘‘যিনি জিতবেন তিনিই তো খুশি হবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন