প্রতীকী ছবি।
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাওয়ার জন্য যত বাস নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সব ক’টি সমাবেশ অবধি যাবে কি না— পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির দু’টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠকে এই প্রশ্ন গত কয়েকদিনে বারবার উঠেছে। জেলার নানা প্রান্ত থেকে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় অনেক কর্মী-সমর্থক ট্রেনেই যাবেন বলে মনে করছেন নেতারা। অথচ, বাসের ভাড়া বাবদ অনেক টাকা দিতে হবে— আশঙ্কা তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার ব্রিগেড-গামী প্রতিটি বাসে ‘বারকোড’ দেওয়া স্টিকার সাঁটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক সভাপতি অভিজিৎ তা ও কাটোয়া সাংগঠনিক সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতিটি বাসে বারকোড দেওয়া স্টিকার লাগানোর কথা রয়েছে।’’ জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে দলের প্রতিটি মণ্ডলকে ওই স্টিকার দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পথে দু’টি টোলপ্লাজ়ায় (পালশিট ও ডানকুনি) আট জন করে কর্মী থাকবেন। তাঁরা ওই বারকোড ‘স্ক্যান’ করবেন। তাতে বোঝা যাবে, কোথা থেকে বাসগুলি আসছে। চালকদের একটি করে ‘শংসাপত্র’ দেবেন ওই কর্মীরা। তা দলের জেলা কার্যালয়ে জমা দিলেই ভাড়ার টাকা মিলবে।
বিজেপি নেতাদের দাবি, দলের প্রতিটি মণ্ডল থেকে ১৫-২০টি করে বাস নেওয়ার চাহিদা রয়েছে। জেলার বাস সংগঠনগুলি চাহিদামতো বাস সরবরাহ করতে পারছে না। তাই ঝাড়খণ্ডের বাসও ব্রিগেড যাবে, দাবি তাঁদের। জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জানান, এই পরিস্থিতিতে কতগুলি বাস ব্রিগেডে গেল, হিসেব রাখা সম্ভব নয়। জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘খাতায়-কলমে বাস বেশি হলে নির্বাচন কমিশন দলের ভোট সংক্রান্ত খরচে সেই টাকা যোগ করবে। আদতে কম বাস গেল, অথচ বেশি বাসের ভাড়া দিতে হল— এমন যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখা হচ্ছে। নানা বিষয় মাথায় রেখেই ওই স্টিকারের কথা ভাবা হয়েছে।’’ বিজেপির রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসের হিসেব রাখার জন্য নতুন পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে।’’