আরও কড়া কমিশন, বন্দিদশার মধ্যেই আর এক দফা নজরবন্দি মদন

ভবানীপুরের ভোট নির্বিঘ্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বন্দি তিনি। সেই বন্দিদশার মধ্যেই আর এক দফা নজরবন্দি করা হল তাঁকে। কমিশনের নির্দেশ, ভোটের দিন কোনও ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ১৪:৫৩
Share:

ভবানীপুরের ভোট নির্বিঘ্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বন্দি তিনি। সেই বন্দিদশার মধ্যেই আর এক দফা নজরবন্দি করা হল তাঁকে। কমিশনের নির্দেশ, ভোটের দিন কোনও ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। পরিজনরা ছাড়া কেউ দেখাও করতে পারবেন না তাঁর সঙ্গে।

Advertisement

কমিশনের কড়া পদক্ষেপ কোচবিহারের জন্যও। তুফানগঞ্জের এসডিপিও এবং সিতাই থানার আইসি-কে শুক্রবার সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভবানীপুরের জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। অসুস্থতার কারণে মদন মিত্রকে জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর। কিন্তু দীপা দাশমুন্সির অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ভবানীপুর কেন্দ্রে ‘ভোট করাবেন’ মদন মিত্র। হাসপাতালের কেবিনে ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে তিনি ভোট লুঠের চেষ্টা চালাবেন বলে দীপা দাশমুন্সির আশঙ্কা। মদনবাবুদের পরিবার ভবানীপুরের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। এলাকা নখদর্পণে থাকায় তাঁকে দিয়েই ভবানীপুরের ভোট নিয়ন্ত্রণ করার ছক কষেছে শাসক দল। এমনই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেন দীপা।

Advertisement

আরও পড়ুন: কড়া পাহারায় রাখুন মদনকে, কমিশনকে চিঠি দীপা দাশমুন্সির

দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শনিবার ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঢুকতে পারবেন না মদন মিত্রের কেবিনে। নিতান্ত ঘনিষ্ঠ পরিজনরা ছাড়া কাউকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। মদন মিত্র ভোট চলাকালীন কোনও মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যবহার করতে পারবেন না ইন্টারনেটও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ অফিসারদের বদলি এবং ১৪৪ ধারা প্রয়োগের বিরুদ্ধে বার বার মুখ খুলেছেন। কিন্তু তাতে যে গুরুত্ব দিতে কমিশন রাজি নয়, তা শুক্রবার আবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে সব এলাকায় শনিবার ভোটগ্রহণ হবে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়ে যাচ্ছে। বদলিও রোখা যায়নি। শেষ দফার ভোট নির্বিঘ্ন করার কথা মাথায় রেখে কোচবিহারের পুলিশে রদবদল ঘটিয়েছে কমিশন। তুফানগঞ্জের এসডিপিও এবং সিতাইয়ের আইসি-কে বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন