রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরনোর পর মিডিয়ার মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গড়ার দাবি পেশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটের বাড়িতে পূর্ণাঙ্গ পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। বৈঠকে ফের সর্বসম্মতিক্রমে পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে রাজভবন রওনা হয়ে যান তৃণমূলনেত্রী।
২৭ মে শপথ নেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাদের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা। এই প্রথম বার বাংলার মন্ত্রিসভা শপথ নেবে রেড রোডে। রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠান হলে সাড়ে তিন হাজারের বেশি অতিথিকে জায়গা দেওয়া যায় না। কিন্তু এ বারের ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশাল জনসমাগমকে সাক্ষী রেখে শপথ নিতে চান। তাই রেড রোডে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন।
শুক্রবার দুপুর ১টায় মমতার কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের নবনির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠক শুরু হয়। প্রথা মাফিক সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত করা হয় শুরুতেই। তার পর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক দুপুর ১টায় নির্ধারিত হলেও সকাল ১১টার পর থেকেই বিধায়করা একে একে মমতার বাড়িতে হাজির হতে শুরু করেছিলেন। ৩০, বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজ ছিল। প্রথমত, তৃণমূল একা লড়েই ২১১ আসনে জয় ছিনিয়ে এনেছে। দ্বিতীয়ত, ১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম কোনও শাসক দল এ রাজ্যে একা লড়েছে নির্বাচনে। তা সত্ত্বেও এত বড় সাফল্য। ইতিহাস গড়েছেন মমতা। সেই ইতিহিসের ভরকেন্দ্র কালীঘাটে তাই অকাল হোলিতে এ দিনও ছেদ পড়েনি। বৃহস্পতিবার দপুর থেকে শুরু হওয়া সবুজ আবিরের ঝড় শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও চলছিল।
আরও পড়ুন:
বিপুল ঝড় তুলে ক্ষমতায় এলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষ করে রওনা হয়ে যান রাজভবনের উদ্দেশে। সঙ্গে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করে মমতা আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন। এ বার যে তিনি রেড রোড থেকে শপথ নিতে চান, সে কথাও মমতা জানান রাজ্যপালকে। নতুন মন্ত্রিসভা রেড রোডে শপথ নিতে চাইলে তাঁর যে কোনও আপত্তি নেই, রাজ্যপালও সে কথা জানিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রীকে।