‘সৎ’ উপেনদাকে জেতাতে চান দিদি

সৎপাত্র কি কম পড়িয়াছে! ভুল হল। বাক্যটা হবে— ‘সৎ প্রার্থী’ কি কম পড়িয়াছে... তৃণমূলে?’ না হলে দোর্দণ্ডপ্রতাপ যে নেত্রী সারদা নিয়ে হইচইয়ের সময়ে তিনি এবং তাঁর সহচরেরা ‘চোর’ কি না তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়তেন, সেই তিনিই কেন ভোট ভিক্ষা করছেন দলের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩৬
Share:

সৎপাত্র কি কম পড়িয়াছে!

Advertisement

ভুল হল। বাক্যটা হবে— ‘সৎ প্রার্থী’ কি কম পড়িয়াছে... তৃণমূলে?’

না হলে দোর্দণ্ডপ্রতাপ যে নেত্রী সারদা নিয়ে হইচইয়ের সময়ে তিনি এবং তাঁর সহচরেরা ‘চোর’ কি না তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়তেন, সেই তিনিই কেন ভোট ভিক্ষা করছেন দলের
‘সৎ প্রার্থী’ দেখিয়ে!

Advertisement

ক’দিন আগে নেত্রী বলেছিলেন, সব আসনে তিনিই প্রার্থী। কাজেই ভোটাররা যেন নিজেদের কেন্দ্রে প্রার্থীর পরিচয় নিয়ে মাথা না ঘামান। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বুধবারের জনসভা দেখল, বিলক্ষণ মাথা ঘামাতে বলছেন নেত্রী। জেতাতে বলছেন তাঁর ‘উপেনদা’কে!

উপেনদা মানে উপেন বিশ্বাস। অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই অফিসার। গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দিয়েছিলেন নেত্রী। এবং ভোটে জিতলেও তাঁকে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণের মতো কম গুরুত্বের দফতর দিয়ে দায় সেরেছিলেন।

পাঁচ বছর পার। ফের এক নির্বাচনী জনসভা। বুধবার যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘উনি এক জন সৎ অফিসার ছিলেন। উপেনদাকে আমার চাই। না হলে মা-মাটি-মানুষের সরকার হবে
কী করে?’’

এই কথা শুনেই বিরোধী শিবির থেকে উড়ে এসেছে কটাক্ষ। এক নেতা বলেই ফেললেন, ‘‘উনি নিজের পোস্টারে ‘সততার প্রতীক’ লেখেন। অথচ ওঁর ভাণ্ডারে একটাও সৎ লোক নেই! এক সাংসদ-অধ্যাপকের তবু
সৎ ভাবমূর্তি ছিল। এখন তো তিনিও নারদের ফাঁসে!’’

শুরু সেই সারদা দিয়ে। তাতে জড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ এখনও জেলে। মদন মিত্র মন্ত্রী-পদ ছাড়লেও জেল থেকে ফের ভোটে লড়ছেন। তার পর নারদ-ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো সাংসদরা কেউ টাকা নিচ্ছেন, কেউ টাকা নেওয়ার কথা বলছেন। মমতা প্রথমে সেই ভিডিওকে ‘ভেজাল’ বললেও পরে দলীয় তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন।

যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে ভাঙা উড়ালপুল। সেখানে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সী ও তাঁর ভাইপোর। তদন্তে উঠে এসেছে সিন্ডিকেটের ছায়াও। যে সিন্ডিকেটের কথা আরও একটি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে (যার সত্যতা যাচাই আনন্দবাজারের পক্ষে সম্ভব হয়নি) মেনে নিতে দেখা গিয়েছে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে।

তবে কহানির ‘টুইস্ট’টা অন্য জায়গায়। অনেকে বলছেন, এই মমতাই অতীতে বারবার সিবিআইকে তোপ দেগেছেন। আর এখন কি না তাঁরই ‘সততার মুখ’ এক প্রাক্তন সিবিআই! অমিত মিত্রের হয়ে প্রচারে গিয়ে ঘুষ-কাণ্ডে জড়িয়ে ‘লজ্জিত’ সৌগত বলেছিলেন, ‘‘এই ভদ্রলোক কিন্তু সৎ।’’ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও একই সুর। অবশ্য সৎ ভাবমূর্তির জন্য পুলিশমহ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement