— প্রতীকী চিত্র।
পয়লা জানুয়ারি ছুটি, দোসরা জানুয়ারি বই দিবস। এ দিকে, ওই দু’দিনই কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জেলা স্তরে স্কুলগুলির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রেখেছে। ছুটির দিন এবং বই দিবসে কী ভাবে প্রতিযোগিতার সূচি ফেলল পর্ষদ, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। ওই দু’দিন এই কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।
সংগঠনের নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ২ জানুয়ারি বই দিবসে প্রাক্ প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পাঠ্যবই দেওয়া হয়। সে দিন ওই পড়ুয়ারা কী ভাবে পাঠ্যবই নেওয়া ফেলে রেখে খেলতে যাবে? ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই দু’দিন কলকাতা জেলার অধীনস্থ স্কুলগুলির খেলা হবে শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্কে। বই দিবসে পড়ুয়ারা স্কুল ফেলে খেলতে যেতে চাইবে না। পয়লা জানুয়ারি ছুটির দিনেও কেন পড়ুয়া বা শিক্ষকেরা খেলার মাঠে আসবেন?’’
এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা জেলার সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কলকাতার জুনিয়র বেসিক স্কুল, মাদ্রাসা, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং প্রাথমিকের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ারা অংশ নেয়। সন্দীপ জানান, প্রতিযোগীর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। তাঁর প্রশ্ন, এত প্রতিযোগী কি পয়লা ও দোসরা জানুয়ারি আনা সম্ভব?
যদিও কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্নার যুক্তি, ২ জানুয়ারি সকালে পড়ুয়ারা বই নেওয়ার পরে বেলায় খেলার মাঠে যেতেই পারে। অন্য দিকে, পয়লা জানুয়ারি যে শিক্ষকেরা মাঠে আসবেন, তাঁরা ওই দিন কাজ করার জন্য অন্য এক দিন ছুটি নিতে পারবেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে