তৃণমূলের সাধারণ সমর্থকরা এখন বামেদের পাশে। তাঁদের সমর্থনেই দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা পার্টি অফিস আবার খুলেছে সিপিএম। বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র। চন্দ্রকোণার জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রীর প্রতি সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য, ‘১৯শে মে’র পর আমাদের কাজ হবে আপনাকে একটু শান্তি দেওয়া।’ প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে জোটের থেকে, দাবি করেছেন সূর্যকান্ত।
সারদা কাণ্ড, নারদ স্টিং, টেট কেলেঙ্কারি, এসএসসি পরীক্ষা অনিয়মিত হয়ে যাওয়া নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক শুক্রবার খঠোর সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীর। শিল্প না আনতে পারার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে রাজ্যে ১০০০ কোটি টাকাও বিনিয়োগ হয়নি। শালবনিতে ইস্পাত কারখানা তৈরি হল না। তার আগেই সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন।’’ কটাক্ষের সুর আরও তীব্র করে এর পর সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘সিমেন্ট তো আসবে ইস্পাতের উদ্বৃত্ত থেকে। মেয়ের বিয়ে দিল না, নাতির অন্নপ্রাশনের কার্ড ছেপে দিল।’’
আরও পড়ুন:
ঘাসফুলের গড়ে হুঙ্কার সেলিমের
মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের অন্য নেতারা বিভিন্ন সভায় মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, তৃণমূলই থাকবে। এই প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরকে তীব্র আক্রমণ করেন সূর্য। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বলছেন, নির্বাচন কমিশন চলে গেলে তো আমি থাকব। আপনি বুঝে নিন, শুধু আপনি থাকবেন। আপনার সরকার আর থাকবে না।’’ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে এ দিন আরও আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্রের কণ্ঠস্বর। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘প্রথম দফার ভোটেই পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এর পর আরও পিছতে থাকবে। আপনার দলেরই অনেকে আমাকে খবর দিচ্ছেন। কারণ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, ১৯ তারিখের পর আর দিদি থাকবেন না।’’ নির্বাচনে জিতলেও সংযম দেখানোর ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন সূর্য তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকারের প্রথম কাজ হবে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েদের গায়ে যাতে আঁচড় না লাগে তার ব্যবস্থা করা। ফল বেরনোর পর যেন সবাই শান্তিতে থাকেন। আমরা চাই টিএমসি সমর্থকরাও শান্তিতে থাকুন। টিএমসি যাঁরা করেন, তাঁদেরও মিটিং-মিছিল করার অধিকার আছে। ফল বেরনোর পর সে কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’’