কেন ভোট দিল বাবা? তৃণমূলের লাঠি মাথা ফাটাল ১০ বছরের প্রীতির

ভোট মিটতেই শুরু শাসকের সন্ত্রাস। জেলার কোনও প্রত্যন্ত গ্রাম নয়, খাস কলকাতা পুলিশের এলাকাতেই শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের হামলা। বারণ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন ক্লাস ফোর-এর পড়ুয়া প্রীতির বাবা দীনেশ বর। রাতে দরজা খুলতেই তৃণমূলের লাঠি ফাটিয়ে দিল ছোট্ট প্রীতির মাথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ১৩:০৪
Share:

ছোট্ট প্রীতিকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে মা বাসন্তী বর। —নিজস্ব চিত্র।

ভোট মিটতেই শুরু শাসকের সন্ত্রাস। জেলার কোনও প্রত্যন্ত গ্রাম নয়, খাস কলকাতা পুলিশের এলাকাতেই শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের হামলা। বারণ করা সত্ত্বেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন ক্লাস ফোর-এর পড়ুয়া প্রীতির বাবা দীনেশ বর। রাতে দরজা খুলতেই তৃণমূলের লাঠি ফাটিয়ে দিল ছোট্ট প্রীতির মাথা। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন প্রীতি বর।

Advertisement

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পূর্বের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল ভোটের আগের দিন থেকেই। সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি হতেই এলাকার রাশ চলে যায় পুলিশ আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ভূতেদের জারিজুরি বন্ধই ছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকেই মহা আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়তে শুরু করেছে কলকাতার মেয়রের অনুগামীরা। অভিযোগ এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের। হরিদেবপুর থানা এলাকার নেপালগঞ্জ ঘোলপাড়ায় যে প্রীতি বর নামে যে বছর দশেকের মেয়েটি আক্রান্ত হয়েছে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ, তার পরিবারকে অনেক দিন ধরেই শাসানি দেওয়া হচ্ছিল বলে অবিযোগ। প্রীতির মা বাসন্তী বর বললেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে কোনও বারই ভোট দিতে যেতে পারিনি। এ বারও বলে গিয়েছিল ভোট না দিতে। কিন্তু প্রীতির বাবা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেই রাগেই বাড়িতে হামলা করেছে।’’

আরও পড়ুন:

Advertisement

ঝামেলা নেই তো? বুদ্ধের ফোন দীপাকে

বর পরিবার জানাল, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন হামলা হয়, তখন দীনেশ বাড়ি ছিলেন না। দীনেশের স্ত্রী বাসন্তী, মেয়ে প্রীতি এবং বাবা বাড়িতে ছিলেন। দরজায় আওয়াজ শুনে প্রীতি দরজা খুলে দেয়। খুলতেই লাঠির ঘা পড়ে প্রীতির মাথায়। মাথা ফেটে যায় তার। সেই অবস্থাতেই ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে।

প্রীতিকে রাতেই ভর্তি করানো হয়েছে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। তৃণমূলের ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন