কংগ্রেস ও বাম বোঝাপড়ার মোকাবিলা করেও তারকা-কেন্দ্রে এগিয়ে থাকছে তৃণমূল। তবে পতন হতে পারে কিছু তারকার! এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে এবিপি আনন্দ-এ সি নিয়েলসেনের যৌথ জনমত সমীক্ষা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষা চালানো হয়েছে যে ৪৯টি আসনে, তার মধ্যে ২৩টিতে জয়ী হতে পারেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কংগ্রেস ও বামেদের গণতান্ত্রিক জোট জিততে পারে ১৪টিতে। বিজেপি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটি করে আসনে জেতার ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষা। আর এর বাইরে দিনহাটা, মধ্যমগ্রাম, জলপাইগুড়ি, চৌরঙ্গি, নারায়ণগড়়, বড়জোড়া, কসবা, চন্দননগর, খড়গপুর সদর ও বর্ধমান দক্ষিণ— এই ১০টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে বিরোধীদের লড়াই হা়ড্ডাহাড্ডি! শেষ বিচারে এই সব কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে পারেন যে কোনও প্রার্থীই।
গত ১০ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। অর্থাৎ সমীক্ষার পুরো সময় জু়ড়ে না থাকলেও ভোটারদের মতামত নেওয়ার কিছুটা সময়ে নারদ নিউজের স্টিং-কাণ্ড নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের সমীক্ষা অবশ্য বাস্তবের সঙ্গে সব সময় হুবহু মেলে না। পাশাপাশিই পর্যবেক্ষকেরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অন্যান্য সব মাপকাঠি ঠিক থাকলেও যত বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলা হবে, সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতাও তত বেশি হবে। এখানে বাকি সব মাপকাঠি ঠিক আছে বলে ধরে নিলেও সমীক্ষার ক্ষেত্র aখুব বড় ছিল না। তবে ভোটারদের কিছু অংশের সঙ্গে কথা বলে জনমতের আভাস দেওয়ার জন্য এই ধরনের সমীক্ষা এখন স্বীকৃত।