ভোট হয়ে গিয়েছে। ২১১ আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবু নির্বাচন কমিশনের ওপর অসন্তোষ কমেনি শাসক দলের।
এ বার ভোটে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে মোটের ওপর খুশি বিরোধীরা। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশনের আচরণ ছিল পক্ষপাতদুষ্ট। ভোট পরিচালনার জন্য এমন কিছু অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল যা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। দলের সহ-সভাপতি মুকুল রায় মঙ্গলবার জানান, ‘‘সংসদের অধিবেশন শুরু হলে বিষয়টি সেখানে উত্থাপন করবে তৃণমূল। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়েরও হস্তক্ষেপ দাবি করা হবে।’’
ভোটের শুরু থেকেই কমিশনের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিল তৃণমূল। কমিশনের অতিসক্রিয়তা নিয়ে বারবার সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। আবার ঘরোয়া আলোচনায় দলের নেতারা বলছিলেন, নসীম জৈদীকে কমিশনে নিয়োগ করা হয়েছিল কংগ্রেস জমানায়। তিনি সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলের ঘনিষ্ঠ। হতে পারে তাঁর কাজে সেই ঘনিষ্ঠতারই প্রভাব পড়ছে।
প্রকাশ্যে সেই অভিযোগ না করলেও মুকুলবাবু এ দিন বলেন, ‘‘বিবেক সহায় নামে এক অফিসারকে ভোটের কাজে নিয়োগ করেছিল কমিশন। উনি কী ভাবে ভোটে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তা নিয়েও তদন্ত চাইছি।’’ ওই অফিসারের নির্দেশেই ভোটের সময় বহু মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘বিবেক রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর ঘনিষ্ঠ। সব আইন ভেঙে কমিশন ওই অফিসারকে কলকাতায় বসিয়ে রেখে মানুষের উপর অত্যাচার করেছে।’’ কলকাতায় কম ভোট পড়ার জন্যও এদিন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুকুলবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘আরও ৩-৪% ভোট পড়তে পারত কলকাতায়। কমিশনের সন্ত্রাসের জন্য তা হল না।’’