বাঘমুণ্ডির পাথরডি গ্রামে আহতদের সঙ্গে। ছবি: সুজিত মাহাতো
ভোটের ফল প্রকাশের রাতে কংগ্রেস কর্মীদের হাতে নিহত দলীয় সমর্থকের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গেলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বলরামপুরের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতো। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বাঘমুণ্ডির পাথরডি গ্রামে নিহত লক্ষ্মণ পরামাণিকের বাড়িতে যান। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত মাহাতো।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর জয়ের পর পাথরডি গ্রামে লক্ষ্মণবাবুর বাড়ির দরজার কাছে কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক পটকা ফাটাচ্ছিলেন। গ্রামের তৃণমূল সমর্থক লক্ষ্মণবাবু তাঁদের দূরে গিয়ে পটকা ফাটাতে বলেন। প্রথমে তারা সেখান থেকে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে লক্ষ্মণবাবুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে তাঁর বাড়ির পাঁচজন ও দু’জন আহত হন।
শান্তিরামবাবুকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের পরিজনেরা। তাঁকে সে দিনের ঘটনা জানান পরিজনেরা। উঠোনে শুকিয়ে থাকা রক্তের দাগ শান্তিরামবাবুকে দেখানো হয়। তিনি লক্ষ্মণবাবুর ছেলে রথুর হাতে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। আহতদেরও প্রত্যেককে চিকিৎসা বাবদ কিছু অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। রথু ও বাড়ির অন্য লোকজন শান্তিরামবাবুর কাছে অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নাসিম খানকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। শান্তিরামবাবু তাঁদের কথা দেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন। দলের যুবনেতা সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘‘দলের জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাহায্য পাঠিয়েছেন।’’ তবে ঘটনায় চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূলের বাঘমুণ্ডির ব্লক নেতা নিধিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত নাসিম খান এখনও অধরা। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার না করা হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’’