সভায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
ভারত নির্মাণ পার্টির নেতা লক্ষণ শেঠ, সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ বিভিন্ন সভা সমিতিতে সিপিএমকে তুলোধোনা করছেন। তাঁদের সিপিএম সমালোচনায় তৃণমূলের কাজ কমিয়ে দিয়েছে বলেই ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার হলদিয়ায় আইওসি রিফাইনারির কাছে দলীয় প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডলের সমর্থনে এমন কথাই বললেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।তিনি বলেন, ‘‘“কোলাঘাট থেকে দিঘা পর্যন্ত আমার কাজ অর্ধেক হালকা করে দিয়েছেন লক্ষণ শেঠ ও কিরণময় নন্দ। তাঁরা দুজনে জোট বেঁধে বলছেন, এই পচা সিপিএমকে ভোট দেবেন না। সিপিএম বামপন্থা থেকে সরে গিয়েছে।”
শুভেন্দুবাবু সভাতে লক্ষণ শেঠকে হলদিয়ার সিপিএমের স্থপতি হিসাবে উল্লেখও করেন। শুভেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘হলদিয়ায় বীজ বপন করে চারাগাছ তৈরি করে সিপিএমকে বটবৃক্ষে পরিণত করেছিলেন, তাঁর নাম কি? লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর অনেক কাজের আমি বিরোধী। বিশেষ করে নন্দীগ্রামের ঘটনায় তিনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁর জন্য আমার ঘৃণা আছে, ধিক্কার আছে।” শুভেন্দুবাবু বলেন,“সেদিন লক্ষণ শেঠ একাই নন্দীগ্রামে গণহত্যা সংগঠিত করেননি। তাঁর নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গণহত্যা ঘটিয়েছিলেন। সেই লক্ষণবাবু আজ বলছেন সিপিএমকে ভোট নয়।”
মতবিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে তাঁকে দেখে এবং নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রেখে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “নীচুস্তরে মান-অভিমান থাকতে পারে।সে ই মান-অভিমান ভূলে আমার দিকে তাকিয়ে ,নেত্রীর ওপর আস্থা রেখে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দিন।”
কোনও শ্রমিক কর্মচারীর প্রতি যদিও কেউ অন্যায় কাজ করেন সেবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের বলেন, ‘‘কারখানায় আইএনটিটিইউসি করবেন, আবার গ্রামে সিপিএম গিয়ে সিপিএম করবেন এই দ্বিচারিতা করবেন না। এটা আমার নির্দেশ নয়, যৌক্তিকতা, নীতিবোধ থেকে বলছি।’’