Manoj Tiwary

লক্ষ্মীর পিচে দিদির ‘পরিবর্ত’ সম্ভবত মনোজ, ঘরের মাঠে ডিন্ডাকে চায় বিজেপি

সম্ভবত এবারের নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন বাংলার বর্তমান ও প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও অশোক ডিন্ডা।

Advertisement

সব্যসাচী বাগচী

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ২০:৫৪
Share:

দুই পুরনো বন্ধু দুই দলের হয়ে নতুন যুদ্ধে নামতে চলেছেন।

এবারের নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন বাংলার বর্তমান ও প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিঅশোক ডিন্ডাতৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে মনোজের কেন্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা হাওড়া উত্তর। বিজেপি-র প্রার্থী হতে চলা ডিন্ডা সম্ভবত দাঁড়াচ্ছেন ময়না কেন্দ্র থেকে।

Advertisement

গত বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন বাংলার আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সেই কেন্দ্রেই সম্ভবত মনোজকে দাঁড় করাচ্ছে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে বা মনোজ নিজে এ ব্যাপারে কিছু না জানালেও মনে করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মনোজই হাওড়া উত্তরে পছন্দ তৃণমূলের। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মী ২৬,৯৫৯ ভোটে হারিয়েছিলেন জোটপ্রার্থী কংগ্রেসের সন্তোষকুমার পাঠককে। লক্ষ্মী ৬১,৯১৭টি ভোট পেয়েছিলেন। কংগ্রেসপ্রার্থী পেয়েছিলেন ৩৪, ৯৫৮টি ভোট। সেবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছিলেন ৩১,৪১৬টি ভোট। নির্বাচিত হয়ে লক্ষ্মী ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই বছরের ৫ জানুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেন। জানান, তিনি আবার ক্রিকেটে ফিরতে চান। হয়ত প্রশাসক হিসেবে।

ডিন্ডার ক্ষেত্রেও সরকারী ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু তাঁরও নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রায় পাকা। ডিন্ডার বা়ড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নৈছনপুরে। সেটি যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই ময়নাতেই সম্ভবত ডিন্ডাকে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সংগ্রাম দোলুই জিতেছিলেন। তিনি ১ লক্ষ ৯৮০ ভোট পেয়েছিলেন। জোটপ্রার্থী কংগ্রেসের মানিক ভৌমিককে হরিয়েছিলেন ১২, ১২৪ ভোটে। সেই বার এই কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন সুকেশরঞ্জন দাস। তিনি ৬,৫০৬টি ভোট পেয়েছিলেন।

Advertisement

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মনোজ। অবশ্য দু’বছর আগেই তিনি রাজনীতিতে আসতে পারতেন। ২০১৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তৃণমূল যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বলেছিলেন। সে বার পিছিয়ে গেলেও এ বার দিদিকে ‘না’ বলতে পারেননি মনোজ। লক্ষ্মীর মতো মনোজও হাওড়ার মানুষ। দুজনেই অবাঙালি হয়েও বংলাকে আপন করে নিয়েছেন। দুজনেই বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। অনেকেই মনে করেছিলেন, লক্ষ্মীকে হারানোর পরেই হাওড়ারই আর এক অবাঙালি ছেলে এবং ক্রিকেটার মনোজকে তাঁর জায়গায় চাইছে তৃণমূল। এবার বাস্তবে হয়ত সেটাই হতে চলেছে।

মনোজের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনই ডিন্ডা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিজেপিকেই বাছলেন কেন প্রশ্ন করায় ডিন্ডা সেদিন বলেছিলেন, ‘‘আমার বিজেপিকেই ভাল লাগে, কারণ এরাই একমাত্র দল, যারা ভাল কিছু করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া বিজেপি বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। বিজেপি আমাকে সুযোগ দিয়েছে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য। আমি কষ্ট করে বড় হয়েছি। চাই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ আর আমার দাদা শুভেন্দু অধিকারীকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement