North Dinajpur

Bengal Polls: গঙ্গারামপুরে বিজেপি-র কার্যালয়ে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল, পাল্টা হামলার অভিযোগ জোড়াফুলেরও

তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, বিজেপি-রই ৪০০-৫০০ জন মিলে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। ছেলেকে বার করে দিতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০৪
Share:

বাঁ দিকে, বিজেপির কার্যালয়ে পড়ে ভাঙা চেয়ার। ডান দিকে, তৃণমূল কর্মী লালন পাল।

ভোটের মরসুমে ফের অশান্তির অভিযোগ। এ বার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল-এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও তৃণমূলের দাবি বিজেপি-র লোকজনই তাঁদের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালান।

Advertisement

শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাতে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তার পর দল বেঁধে তাঁদের অস্থায়ী কার্যালয়ে চড়াও হন। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। চেয়ার-টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয় ফ্লেক্স এবং কাপড়।

বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি মণিরত্ন সাহা বলেন, ‘‘সাড়ে ৯টা পৌনে ১০টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কালীতলার কার্যালয়ে ঢুকে টিভি, চেয়ার ভেঙে দেয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় ফেস্টুন। মত্ত অবস্থায় আমাদের ছেলেদের মারার করার চক্রান্ত চলছিল। এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটি যাতে অশান্ত না হয়ে ওঠে, তার জন্য এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর আর্জি জানাচ্ছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন:

যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, প্রায় কয়েক’শো বিজেপি কর্মী মিলে লালন পাল নামের তাঁদের এক কর্মীর বাড়িতে চড়াও হন। তাঁর ঘরের টিনের দেওয়ালে এলোপাথাড়ি লাথি মারা হয়। লালনের ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন বিজেপি কর্মীরা।

বিজেপি-র প্রায় পাঁচশো লোক তাঁর বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন লালন। তিনি বলেন, ‘‘রাতে প্রচুর লোক মিলে বাড়ি ঘিরে ধরেছিল। প্রায় শ’পাঁচেক লোক তো হবে। সবাই বিজেপি-র। আমি বেরোলে বলে, ‘আপনার ছেলেকে বার করে দিন। আমাদের হাতে তুলে দিন।’ আমি হাতজোড় করে ওদের বললাম, এ রকম কোরো না। গন্ডগোল কোরো না কেউ।’’ তাঁরা তৃণমূল করেন বলেই বিজেপি-র লোকজন দলবেঁধে এসেছিল বলে দাবি লালনের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন