West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: বিনয় মিশ্রকে চিনি না: মমতা

যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত বিনয়ের খোঁজে একাধিক বার তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৫১
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

কয়লা ও গরু পাচারে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রকে চেনেন না বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই সব নাম তুলে কথা বলার কোনও মানে হয় না। এই রকম কাউকে চিনি না।’’ শুধু তাই নয়, এ বারের নির্বাচনের মধ্যে সামনে আসা অডিয়ো টেপ নিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘এটা অনৈতিক। কারও কথা রেকর্ড করা ঠিক নয়।’’ তিনি মনে করেন, কারও ব্যক্তিগত আলাপচারিতা সম্মতি ছাড়া রেকর্ড করা ও তা প্রকাশ্যে আনা অনৈতিক।

Advertisement

কয়লা ও গরু পাচারের তদন্তে বিনয়ের নামে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত বিনয়ের খোঁজে একাধিক বার তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। সেই সূত্রেই ভোটের মুখে এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচার করেছেন বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের নেতারা। নানা ভাবে বিনয়ের সঙ্গে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্বের সম্পর্কের অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা।

শুধু তাই নয়, যুব তৃণমূলের পদের সূত্রেই বিনয়ের সঙ্গে সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে একটি সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত বিনয়ের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের কথা উঠলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি চিনি না।’’ পাশাপাশি কয়লা পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। মমতা বলেন, ‘‘কয়লা তো কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার।’’ কেন্দ্রীয় সরকার যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। এ দিকে এ দিনই অন্য একটি অনুষ্ঠানে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিনয়কে রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিনয়কে পদ থেকে সরানো হবে না। তাঁর যুক্তি, মুকুল রায়ের মতো একাধিক অভিযুক্ত নেতাকে সর্বভারতীয় সংগঠনের পদে রেখেছে বিজেপি। তাই এ ব্যাপারে বিজেপির কোনও বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অভিষেক।

Advertisement

এ বারের নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন সময় একাধিক অডিয়ো টেপ সামনে এনেছে রাজনৈতিক দলগুলি। পরস্পরকে তা নিয়ে আক্রমণ করেছে তারা। এই রকম অডিয়ো টেপ সামনে এসেছে কয়লা ও গরু পাচারের মতো ঘটনা নিয়ে। এ দিন সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গও উঠেছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা একেবারেই ঠিক নয়। অনৈতিক কাজ। দু’জন কথা বলছেন আর তা রেকর্ড করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর সব ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ করে মমতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন