Maldah

Bengal Polls: খুনের মামলায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে কালিয়াচকে মাথা ফাটল পুলিশের, গ্রেফতার ৮

পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে কয়েক জন পুলিশ কর্মী এদিক ওদিক পালিয়ে যান। সেই সুযোগে হাজরুকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১ ১৮:১৮
Share:

মালদহ হাসপাতালে আহত পুলিশ কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

বছর আটের পুরনো এক খুনের মামলায় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। ক্ষিপ্ত জনতার হাতে মাথা ফাটল এক এএসআই-এর। আহত আরও কয়েক জন পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। মালদহে কালিয়াচকে মোজমপুরের ইমাম জায়গীর গ্রামের ঘটনা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ঘটনার জেরে থমথম করছে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Advertisement

২০১৩ সালে কালিয়াচকে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় এলাকার কংগ্রেস নেতা হাজরু শেখের। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। মাঝে দীর্ঘ দিন বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া না হলেও ভোটের আগে নিয়ম মেনে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে নামে পুলিশ। তার জেরেই বিপত্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমাম জায়গীর গ্রামে হাজরুর উদ্যোগে রবিবার একটি দিন-রাতের ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্ট চলার সময়ই রাত সওয়া ৯টা নাগাদ মাঠে উপস্থিত হয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। হাজরুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে উপস্থিত দর্শকরা। পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে কয়েক জন পুলিশ কর্মী এদিক ওদিক পালিয়ে যান। সেই সুযোগে হাজরুকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত হাজরু পলিশের হাত ছাড়িয়ে পালিয়েও যান।

Advertisement

জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে এএসআই বিশ্বজিৎ গুহ, ২ পুলিশ কর্মী এবং ২ সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কালিয়াচক থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। শুরু হয় এলাকায় ধরপাকড়।

কালিয়াচক ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি রাহুল বিশ্বাস বলেন, “হাজরুকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও কয়েক জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।” কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস বলেন, “পুলিশকে মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন