Keshiary

Bengal Polls: ভোটের দিনে বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ কেশিয়াড়িতে, পিটিয়ে মারার অভিযোগ

পরিবারের অভিযোগ, অন্যত্র খুন করে দেহ বাড়ির উঠোনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের ঘাড়ে, মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ০৯:৫২
Share:

বিজেপি কর্মীর দেহ। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের ৩০ বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। ‘ভোট প্রথমা’র সকালেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সকালে বাড়ির উঠোনে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিজেপি-র অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মেরেছে তাঁদের কর্মীকে। যদিও শনিবার সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মঙ্গল সোরেন। কেশিয়াড়ির বেগমপুরে বাড়ি তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, অন্যত্র খুন করে দেহ বাড়ির উঠোনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের ঘাড়ে, মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন পুলিশের একটি দল। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক সংঘর্ষে এই মৃত্যু হয়নি।

রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘‘যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস হারবে সেখানে ওরা অশান্তি সৃষ্টি করছে।’’ মঙ্গলের বাড়ি গেলেন বিজেপি-র প্রার্থী সোনালি মুর্মু। মঙ্গলের পরিবারের লোক জানিয়েছেন, সক্রিয়ভাবেই বিজেপি করতেন তিনি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, গতকাল তৃণমূলের সঙ্গে বচসা হয়েছিল মঙ্গলের। তার পরই পিটিয়ে মারা হয় তাঁকে। যদিও এ নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তবে কেশিয়াড়ির বেগমপুর এলাকা সকাল থেকেই উত্তপ্ত। সকালে সেখানে বিজেপি-র পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন