Sovan Chatterjee

নিজের এলাকায় বৈশাখী সহ কালো পতাকা দেখলেন শোভন, বিজেপি-র তির তৃণমূলের দিকে

বিক্ষোভের মুখেও পড়েন শোভন-বৈশাখী। বার বার তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে তাঁদের গাড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫৪
Share:

বেহালার রবীন্দ্রনগর বাসস্ট্যান্ডে সভায় শোভন চট্টোপাধ্যয় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র

নিজের ঘরেই কালো পতাকা দেখতে হল বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিজেপি-র অভিযোগ, ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

রবিবার বিকেলে বেহালার রবীন্দ্রনগর বাসস্ট্যান্ডে সভা ছিল বিজেপি-র কলকাতা জোনের। সেই সভাতেই যোগ দিতে বেহালা আসছিলেন শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'জনে একই গাড়িতে বসে ছিলেন। তাঁরা বেহালায় প্রবেশ করলে প্রথমে কালীমাতা কলোনি, পর্ণশ্রী-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হয়। এক জায়গায় আবার তীব্র স্বরে ডিজে বাজিয়ে 'খেলা হবে' স্লোগান তোলা হয়। বিক্ষোভের মুখেও পড়েন শোভন-বৈশাখী। বার বার তাঁদেরকে বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে তাঁদের গাড়ি। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় সন্ধে ৬টা নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছন শোভন-বৈশাখী। পুরো ঘটনায় তীব্র অস্বস্তি পড়েন তাঁরা দু'জনে।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুর থেকে। বেহালায় বৈশাখীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এতে শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মদত ছিল বলে বিজেপি-র দাবি। এ নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় তারা অভিযোগও দায়ের করে। অন্য দিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেননি রত্না। তিনি বলেন, ‘‘শোভন বা বিজেপি-র ওপর তাঁর কোনও রাগ নেই। বৈশাখীর ফ্লেক্স ছেঁড়ার পিছনে হয়তো একটাই কারণ রয়েছে। তা হল, ওই মানুষটির জন্যই শোভন নিজের বিধানসভা এলাকায় গত সাড়ে তিন বছরে একবারও আসেননি। খোঁজ নেননি এলাকার মানুষের। তাই যদি কেউ বৈশাখীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে থাকে তবে তা ঠিকই হয়েছে। আমি এটাকে সমর্থন করি।’’

Advertisement

পরে রবীন্দ্রনগরের সভামঞ্চ থেকে নাম না করে রত্নাকে আক্রমণ করেন বৈশাখী। প্রথমে মঞ্চে উঠেই মাইক হাতে নেন বৈশাখী। তারপরই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তুলে নিশানা করেন তৃণমূলকে। বলেন,‘‘খেলা হবে। বিধানসভা ভোটে মানুষ উত্তর দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন