ভোট আসছে। অতএব তেনাদের আনাগোনাও বেড়ে গিয়েছে। তেনারা দৃশ্যে আসেন, অদৃশ্যেও আসেন।
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ভূতেরাও তত নেমে আসছে অন্ধকার জুড়ে। দৃশ্যমান ভূত ভয় দেখায়। বুথের দিকে আগুয়ান নিরীহ গোবেচারা মানুষের সামনে আচমকাই হুমড়ি খেয়ে এসে ভয় দেখায়। বুথ থাকে দূরে। মানুষ ঘরমুখো হয়। অদৃশ্য ভূত কাজ শুরু করে তখনই। আধা মিলিটারির বুটের ধুপধাপ, সাইরেনমুখর অবজার্ভারদের দাপাদাপি, কমিশনীয় হুঙ্কার এ সবকে দূর প্রান্তরে সরিয়ে রেখে অদৃশ্য ভূতেরা কাজ শুরু করে নিঃশব্দে। রামের ভোট, রহিমের ভোট, শ্যামার ভোট, শামিমার ভোট নিঃশব্দে পড়ে যায় অদৃশ্য ভূতের আঙুলে। নিরন্ন, ভয়ার্ত, ক্লিষ্ট বর্তমান নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় ভাগ্যটা ছেড়ে দেয় ভূতের উপরে।
এ যাবত্ তাই হয়ে আসছে। গ্রাম গ্রাম থেকে শেষ নির্বাচনেরও যে খবর আসছে তাতে মানুষের কথা কম, ভূতের গল্প বেশি। নির্বাচন কমিশনের কঠোর নজরদারি, অফিসারের পর অফিসার বদলি পারবে কি ব্যতিক্রমী ২০১৬ উপহার দিতে? পারতে গেলে এই ভূতেদের উপদ্রবের উত্সমুখে যাওয়া দরকার। পারবে নির্বাচন কমিশন? এ বার? এই দেশ, তার গণতন্ত্রের শিকড় সে ক্ষেত্রে ২০১৬-কে মাইলস্টোন হিসাবে দেখিয়ে ভবিষ্যত্ ইতিহাসকে বলবে, এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।