ঐশ্বর্য-অভিষেকের বিয়ের দশ বছর ছুঁল আজই। ইনস্টাগ্রামে সস্ত্রীক রোম্যান্টিক ছবি পোস্টও করে ফেলেছেন বচ্চন জুনিয়র।
কী প্ল্যান বচ্চন-দম্পতির? এ বছর কোনও সেলিব্রেশনের দিকেই যাবেন না ওঁরা। সদ্য বাবাকে হারিয়েছেন ঐশ্বর্য। তাই বচ্চন পরিবার ২০১৭-য় কোনও রকম উৎসব উদ্যাপন থেকে দূরেই থাকবে। বিবাহবার্ষিকীতেও তাই। হোক না দশের পূর্তি।
এ দিকে প্রকাশ্যে সুখী-সুখী রোম্যান্টিক ইমেজ বজায় রাখলেও কানাঘুষোয় অনেক কথাই ঘোরে বচ্চন-অন্দরের। সে ঘটনায় কখনও বা ভেসে আসে ওঁদের বিচ্ছেদের খবর, তো কখনও বা শাশুড়ি মা-র সঙ্গে বৌমার সংঘাত।
কিছু দিন আগে তো রটে গিয়েছিল, তাঁদের বিবাহিত জীবন ভাঙনের পথে। ঘটনার কেন্দ্রে ছিল ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিটি। যেখানে রণবীর কপূরের সঙ্গে পরদায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ছিলেন ঐশ্বর্য। শোনা যায়, এ ঘটনায় প্রচণ্ড খেপে গিয়েছিলেন শাশুড়ি-মা। ঘনিষ্ঠ মহলে জয়াকে নাকি এ নিয়ে গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে। অবস্থা এতটাই চরমে ওঠে যে, জয়া নিজেই ওঁদের বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেন। শোনা যায়, অভিষেককে তিনি প্রায় রাজি করিয়েও ফেলেছিলেন। সিনিয়র বচ্চন মাঝে থাকায় জল বেশি দূর গড়ায়নি।
অভিষেক-ঐশ্বর্যর সম্পর্কের শুরু থেকেই অবশ্য এমন নাটকীয় ঘটনার শেষ নেই। প্রেমজীবনও ওঁদের কম রঙিন! ঐশ্বর্যর সলমন-সংসর্গ, তা ভেঙে যাওয়া, বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া। অল্প দিনে সেই সম্পর্কেরও ইতি। বিপরীতে অভিষেকের করিশ্মা-প্রেম, পরবর্তী জীবনে রানি মুখোপাধ্যায়। রানিকে সরিয়ে ঐশ্বর্যকে বেছে নেওয়া। ঐশ্বর্যকে দেওয়া প্রেম-প্রস্তাবের দেখনাই তো সিলভার স্ক্রিনকে পিছনে ঠেলে। কিছু দিন আগেই যা কিনা দু’চার কথায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তুলেছেন স্বয়ং ছোটা বচ্চন, ‘‘কনকনে ঠান্ডার নিউইয়র্ক। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সে বলল, ইয়েস।’’ এই প্রেম-প্রেম, বিয়ে-বিয়ে গপ্পোর মাঝে আর একটি খবরও উঁকি দিচ্ছে, দু’জনে জুড়ি বেঁধে নাকি এ বারে ফিরতে চলেছেন মণিরত্নমের ছবিতে!