জুড়ুয়া ২: ‘জুড়ুয়া টু’তে শুধু পাল্টে গিয়েছে সময় আর চরিত্রের মুখগুলো। নতুনত্বের কিছুই নেই। অরিজিনাল ‘জুড়ুয়া’র পর কুড়ি বছর পরে নয়া মোড়কে পুরনো গল্পকেই পরিবেশন করেছেন পরিচালক। ১৯৯৭-এ সলমন-রম্ভা-করিশ্মার ‘জুড়ুয়া’র থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বরুন ধবন-তাপসী পান্নু-জ্যাকলিনের ‘জুড়ুয়া টু’। ভাবলে আশ্চর্য হবেন, এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে ১৩৪ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি।
গ্র্যান্ড মস্তি: ২০১৬ সালে মুক্তি পায় আফতাব শিবদাসানি, রিতেশ দেশমুখ এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ‘গ্র্যান্ড মস্তি’। ডায়লগের দিক থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি এই কমেডি ছবিতে বেশ মুচমুচে, হাল্কা যৌনতার লুকোচুরি রয়েছে। তবে গল্পের প্লট সেই গড়পরতা পুরনো ধাঁচের। ছবির কনটেন্টও আহামরি নয়। কিন্তু বক্স অফিস এই ছবিকে সুপারহিট তকমা দেয়। ১০০ কোটির ক্লাবেও এন্ট্রি নিয়েছে এই ছবিও।
গুন্ডে: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে এই ছবিতে। ছবির গল্প নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়। রণবীর সিংহ-অর্জুন কপূর-প্রিয়ঙ্কা চোপড়া-ইরফান খান অভিনীত এই ছবিতে অ্যাকশন, ক্রাইম, থ্রিলারের বাড়বাড়ন্ত। তবুও বক্স অফিসে ১০০ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি।
হ্যাপি নিউ ইয়ার: রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে গৌরী খানের প্রযোজনায় এই ছবি কিন্তু দর্শকদের হতাশই করেছে। কিং খানের কমেডি, এক গুচ্ছ ঝাঁ চকচকে তারকাও ছবির মান তেমন ভাবে উন্নত করতে পারেননি। আশ্চর্যের বিষয় মুক্তির প্রথম দিনেই ৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি।
হাউসফুল ৩: বলিউডের প্রথম সারির তিন অভিনেতা, অক্ষয় কুমার, অভিষেক বচ্চন ও রিতেশ দেশমুখ রয়েছেন এই ছবিতে। ছবির প্লট তেমন আহামরি না হলেও মুক্তির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল ‘হাউসফুল ৩’। ১০০ কোটির ব্যবসা করে সাজিদ-ফারহাদ পরিচালিত এই ভরপুর কমেডি ছবি।
দিলওয়ালে: খারাপ ফিল্মের জন্যও বলিউডে পুরস্কার দেওয়া হয়। ঠাট্টা করছি না। তার জন্য খুব পরিশ্রম করে খারাপ একটা ছবি বানাতে হবে। ঠিক যেমনটা রোহিত শেট্টির ‘দিলওয়ালে’। বছরের সবচেয়ে জঘন্য ফিল্মের জন্য ‘গোল্ডেন কেলা অ্যাওয়ার্ড’ জেতে এই ছবি। আশ্চর্য়ের বিষয় এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ছিল ১০০ কোটির বেশি।
সন অফ সর্দার: দুর্বল প্লট, হাস্যকর গান— কিন্তু এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন শুনলে চমকে উঠবেন। ১০৫ কোটি। দর্শকমহলে ফ্লপ করলেও এই ছবি দিব্যি ১০০ কোটির ট্যাগ নিজের নামের পাশে বসিয়ে নিয়েছে।
বডিগার্ড: ভাইজানের ছবি মানেই বক্স অফিস হিট। যদি আপনি ছবির গল্প, প্রোডাকশন ভ্যালুর দিকে নজর না দেন, তাহলে আরাম করে তিন ঘণ্টা ব্যয় করে এই ছবির মজা নিতে পারেন। শুধু সলমন আর করিনার রোম্যান্স দেখতেই দর্শক ভিড় জমান আর তাতেই ১০০ কোটির ক্লাবে এন্ট্রি নেয় এই ছবি।
কিক: ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি বক্স অফিসে তেমন নজর কাড়তে পারেনি। সলমনের কিছু স্টান্ট ছাড়া এই ছবিতে আর বিশেষ কিছুই ছিল না। কিন্তু ১০০ কোটির ক্লাবে নাম রয়েছে এই ছবির।
ব্যাং ব্যাং: টম ক্রুজ আর ক্যামেরন ডিয়াজ অভিনীত ‘নাইট অ্যান্ড ডে’ ছবির অফিসিয়াল রিমেক ‘ব্যাং ব্যাং’। বক্স অফিসে তেমন ভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি হৃতিক ও ক্যাটরিনা অভিনীত এই ছবি। কিন্তু এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
এক ভিলেন: ছবির চিত্রনাট্য দুর্বল হলেও বক্স অফিসে রমরম করে চলে এই ছবি। শ্রদ্ধা কপূরের অভিনয় মন কাড়লেও ছবির প্লট মাঝারি মানের। বক্স অফিস কালেকশন ১০০ কোটির বেশি।
রাউডি রাঠৌর: ‘রাউডি’ অক্ষয়ের জন্যই বক্স অফিসে হিটের তকমা পায় এই ছবি। ব্যবসা করে ১০০ কোটিরও বেশি।