আমির এবং ইনসেটে ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবির একটি দৃশ্য।
সম্প্রতি আমির খানের প্রথম ছবি ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ৩০ বছর পূর্ণ করল। সেই উপলক্ষে আমির মুম্বইয়ের এক সিঙ্গল স্ক্রিনে ছবিটির স্ক্রিনিং রেখেছিলেন। সেখানে ছবির পরিচালক মনসুর খান থেকে সঙ্গীত পরিচালক আনন্দ-মিলিন্দ, অভিনেতা দলীপ তাহিল, রাজ জুৎসি, নুজহাত খান, গায়ক উদিত নারায়ণ হয়ে আমিরের মা, প্রথম স্ত্রী রীনা, ভাই ফয়জল, ছেলে জুনেইদ এবং স্ত্রী কিরণ রাও সকলেই উপস্থিত ছিলেন... সেই দিন শুধু দেখা মেলেনি এক জনেরই। ছবির নায়িকা জুহি চাওলার।
‘কয়ামত...’ শুরু হওয়ার ঠিক আগে জুহির পাঠানো একটি ভিডিয়ো মেসেজ সকলকে দেখানো হয়। যদিও জুহি সম্পর্কে আমির প্রথম দিকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আজ জুহিকে ভীষণ মিস করলাম। কিন্তু এত দিন পর বড় পর্দায় যখন ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ দেখলাম, তখন আবার একটা কথা মনে হল। জুহি আমার চেয়ে অনেক ভাল অভিনয় করেছিল আর আমি কত খারাপ অভিনেতা ছিলাম! কিছু দৃশ্যে তো খুবই নার্ভাস ছিলাম। এখনও মনে আছে, ক্লাইম্যাক্সে জুহির গুলি লাগার পর আমাকে বলা হয়েছিল, রেশমি বলে ডেকে জুহিকে আমার কোলে নিতে হবে। কিন্তু তার বদলে আমি জুহি বলে ডেকে ফেলেছিলাম। আমার জন্য ক্লাইম্যাক্স রি-শুট করতে হয়েছিল।’’ তবে তাঁদের হিমশীতল সম্পর্ক সাংবাদিকদেরও স্পর্শ করল, যখন আমিরকে জুহির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘জুহি আমাকে বলে, ও বিদেশে কোনও কাজে যাচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি, জুহি আমাকে মিথ্যে বলেছে।’’ শনিবার ইনদওরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ম্যাচ ছিল এবং জুহি টিমের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জুহির অনুপস্থিতির কারণ কি শুধু এইটুকুই? জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কিছু বছর...
শুটিং চলছিল ‘ইশক’ ছবির। সেটে এক দিন আমির মজা করে জুহিকে কিছু একটা বলেন। হামেশাই তাঁরা এমন খুনসুটি করতেন। কিন্তু সেই দিন কোনও কারণে জুহি প্রচণ্ড রেগে যান এবং আমিরকে কটু কথা শোনান। অপমানিত আমির কথা বন্ধ করে দেন জুহির সঙ্গে। দিন কয়েক পর জুহি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মিটমাট করতে চাইলেও, আমির তা করেননি। পরে নাকি জুহির অনুরোধে শাহরুখ এগিয়ে আসেন আমিরকে বুঝিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য। তাতেও বরফ গলেনি। শোনা যায়, সেই সময়ে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবির জন্য প্রথমে জুহির কথা ভেবেছিলেন প্রযোজকরা। কিন্তু আমির সাফ জানিয়ে দেন, জুহি থাকলে তিনি অভিনয় করবেন না। তার পর করিশ্মা কপূর আমিরের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পান।
সেই শেষ। পর্দায় যতটাই উষ্ণ আমির-জুহির রোম্যান্স, বাস্তবে ততোধিক ঠান্ডা সম্পর্ক। তাই কি ইনদওর থেকে আমদাবাদ হয়ে কানেক্টিং ফ্লাইটে উগান্ডায় চলে যান জুহি? হয়তো কিছু সত্যি তিনি আজও সামনে আনতে চান না...