হর্ষ
এক সময়ে টেলিভিশনে তাঁর একাধিপত্য ছিল। ‘হসরতে’, ‘জুস্তুজু’, ‘সায়া’, ‘অস্তিত্ব’য় হর্ষ ছায়াকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। সেই হর্ষই এ বার ক্যামেরার পিছনে। নিজের প্রথম ছবির পরিচালনা করছেন, যার নাম ‘খজুর পে অটকে’। ছবিতে আছেন সীমা পাওয়া, মনোজ পাওয়া, সানা কপূর, বিনয় পাঠক।
কিছু সময় ধরে হর্ষকে ছোট ও বড় পর্দায় কম দেখা যাচ্ছে। কারণটা কী? হর্ষ বললেন, ‘‘টেলিভিশনে যে রকমের কাজ চলছে, সেখানে আমি আর নিজেকে দেখতে পাই না। বড় পর্দাতেও নিজের পছন্দ মতো রোল পাই না। তাই বেশির ভাগকেই ‘না’ বলতে হয়। যেটুকু করলে আমার সংসার চলবে, সেটুকুই করি।’’
তাই নির্দেশনায়? ‘‘কিছুটা তাই। এক-দেড় বছর ধরে গল্পটা মাথায় ঘুরছিল। একটা ছবি যে বানাব, সেটাও মাথায় ছিল। কেরিয়ারের প্রথম দিকে পাঁচ বছর এডিটিং, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের কাজ করেছি। স্ক্রিপ্টও লিখেছি। ভেবেছিলাম, এ সব করলে হয়তো মাথা থেকে অভিনয়ের পোকা বেরিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হল না! অভিনয়টা ভাগ্যে ছিলই,’’ বলছিলেন হর্ষ।
২০১৫ সালে হর্ষ বাংলা ছবি ‘হর হর ব্যোমকেশ’-এ গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, অরিন্দম শীলের নির্দেশনায়। আবার কবে করছেন বাংলা ছবি? হর্ষের উত্তর, ‘‘জুন মাসে শুরু করছি অরিন্দমের ‘ব্যোমকেশ গোত্র’র কাজ। আগের ছবিতে অরিন্দম আমাকে চেষ্টা করেও ফিট করাতে পারেনি। এ বার একটা চরিত্র যোগ করেছে তাই।’’
হর্ষ কিন্তু সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় বাংলা বলতে এবং পড়তে শিখছেন। বলছিলেন, ‘‘সুনীতা (স্ত্রী) আগেই বলে দিয়েছিল, ‘বিয়ের পরে ইংরেজি, হিন্দিতে কথা বলতে পারব না। তোমাকে বাংলা শিখতে হবে।’ এক বার একটা ছবিতে এক জন বাঙালির চরিত্র করতে হয়েছিল। নাম ‘অন্তরাল’। ১০০ পাতার স্ক্রিপ্ট এসেছিল আমার কাছে। অল্পবিস্তর হলেও সুনীতা আমাকে সাহায্য করেছিল। কিন্তু এ বার আমার মনে হল দায়িত্বটা বড়। ১৫ দিনের সময় চেয়ে নিয়েছিলাম তাই। সুনীতা এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলা শিখেছিলাম।’’