রণধীর কপূর-ববিতা আবার একসঙ্গে, জানালেন করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।
বড় পদক্ষেপ করে ফেললেন রণধীর কপূর-ববিতা! তাঁদের পদক্ষেপের কথা বলিউডে জানাজানি হতে বিস্মিত অনেকে। তাঁরা যাতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সে জন্য এর আগেও পরিবারের অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন। তখন কপূর দম্পতি পাত্তাই দেননি।
এ বার তাঁরা ঠিক করেছেন, আবার আগের মতো এক ছাদের নীচে থাকবেন! দীর্ঘ কয়েক যুগ আলাদা থাকার পর। এই খবর ভীষণ আনন্দের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছেন দম্পতির ছোট মেয়ে করিনা কপূর খান।
তাঁর মুখ থেকে খবর ছড়াতেই বলিউডে ফিসফাস, বড় মেয়ে করিশ্মা কপূরের জীবন থেকেই কি শিক্ষা নিলেন রণধীর-ববিতা?
অনেক বছর ধরে বনিবনা ছিল না তাঁদের। তবে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি। ১৯৮৮ সাল থেকে ছাদ আলাদা করে নিয়েছিলেন রাজ কপূরের বড় ছেলে-বৌমা। যদিও পারিবারিক যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকেন। ছবি তোলেন ‘সুখী দম্পতি’র মতোই। মা-বাবার বিচ্ছিন্নতা ছাপ ফেলত দুই মেয়ে করিশ্মা-করিনার মনে। তাঁরাও অসহায়।
এ বার মা-বাবা নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই করিনা জানিয়েছেন, সন্তান হিসাবে বরাবর তিনি এবং তাঁর দিদি চেয়েছেন, আবার একসঙ্গে থাকুন তাঁরা। বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা আবার পরস্পরের দোসর হোন। সেটা সত্যি হচ্ছে, এটা ভেবেই মন ভরে যাচ্ছে দুই বোনের।
রণধীর-ববিতার আবার এক ছাদের নীচের ফিরে আসাকে করিনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে বর্ণনা করলেও বলিউড বলছে অন্য কথা। প্রাক্তন জামাই সঞ্জয় কপূরের মৃত্যু, বিবাহবিচ্ছেদের পর করিশ্মার একা মা হিসাবে দুই সন্তানকে বড় করার লড়াই— এ সবই কি বর্ষীয়ান দম্পতির মনে ছায়া ফেলেছে! তাই কি তাঁরা শেষ বয়সে একে অন্যের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন? শোনা যাচ্ছে এমন কথাও। তবে মা-বাবার এই সিদ্ধান্ত যে করিশ্মাকে মানসিক দিক থেকে শক্ত রাখবে, সেটা কমবেশি সকলেই মেনে নিয়েছেন।