‘ভাগ্য আমায় টেনে এনেছে কলকাতায়’

সদাহাস্য, স্পষ্টবক্তা অভিনেতার কোনও রাখঢাক নেই। সুমন দের মুখোমুখি আনন্দ প্লাসশিলিগুড়ির বাড়িতে মা, বাবা, দাদা, বৌদি সকলেই রয়েছেন। কিন্তু কলকাতায় একার সংসারে সবই করতে হয় নিজেকে।

Advertisement

নবনীতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০১
Share:

সুমন। ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

শিলিগুড়ির ছেলে সুমন। তবে পড়াশোনা ও কর্মসূত্রে অর্ধেক ভারত ভ্রমণ হয়ে গিয়েছে তাঁর। বেঙ্গালুরুতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে দু’বছর পড়ার পরে শিফ্‌ট করেন কমার্সে। বি কম পাশ করে বছর তিনেক চাকরি করেন মুম্বইয়ে। পাশাপাশি চলতে থাকে অডিশন দেওয়া। ফিটনেস ফ্রিক এই যুবক তখন একটা ব্রেক পাওয়ার জন্য মুম্বই চষে বেড়াচ্ছেন। সুযোগও পান। তবে কলকাতায়। সুমন বললেন, ‘‘মুম্বইয়েই কিছু করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কলকাতা থেকেই বারবার কাজের প্রস্তাব আসছিল। একটি হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজ করি। কিন্তু ভাগ্য আমায় টেনে নিয়ে এল কলকাতায়। ‘আমি সেই মেয়ে, স্বয়ংসিদ্ধা’... তখন পরপর ধারবাহিক করছি কলকাতায় আর তা শেষ হলেই চলে যেতাম মুম্বইয়ে। তবে ‘বধূবরণ’ করার পরে আর ফিরে যাইনি। এ বার কলকাতাতেই থিতু হতে চাই।’’

Advertisement

এখন ‘নকশি কাঁথা’ ধারাবাহিকে যশোজিতের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। নাম-যশ সবই হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় কাজের সূচনাও ভারী অদ্ভুত। এক সোশ্যাল সাইটের বন্ধুর সূত্রে কাজের প্রস্তাব পান সুমন। কলকাতায় আস্তানা বলতে তখন ছিল সেই বন্ধুর ফ্ল্যাট। সেখান থেকে আজাদগড়ের ভাড়াবাড়িতে ওঠেন। ‘‘সে-ও এক অভিজ্ঞতা। সেই বাড়িতে সারা রাত আলো জ্বেলে বসে থাকতাম বারান্দায়। ভোর হলে ঘুমোতে যেতাম। এত ভূতের উৎপাত ছিল সেখানে! রাত তিনটে থেকে আর টিকতে পারতাম না। এক বার তো আমার চাদরের উপরে কেউ যেন উঠে আসছে মনে হল। আর থাকতে পারিনি। ঠাকুরের নাম করতে করতে মাঝরাতেই ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তবুও বলব ওই বাড়ি আমার জন্য শুভ। ওখানে থাকাকালীনই আমি ‘বধূবরণ’ ধারাবাহিকের অফার পাই। সেটা আমার জীবনে টার্নিং পয়েন্ট ছিল,’’ একনাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলেন সুমন।

শিলিগুড়ির বাড়িতে মা, বাবা, দাদা, বৌদি সকলেই রয়েছেন। কিন্তু কলকাতায় একার সংসারে সবই করতে হয় নিজেকে। মাঝেমধ্যে রান্নাবান্নাও করেন। না হলে ভরসা ওট্স, ফল আর প্রোডাকশনের খাবার। জীবন জুড়ে কি শুধুই কাজ না কি প্রেমও আছে? বাঁ হাত বাড়িয়ে দিয়ে হাতের কাটা চিহ্নগুলো দেখালেন, ‘‘এই সবই তার জন্য। এক সময়ে জমিয়ে প্রেম করেছি। আমাদের বিয়ে হওয়ার কথাও ছিল। প্রায় সাত বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শেষমেশ আর টেকেনি। প্রেমটা শুনতে খুব ভাল, প্রেমের সময়েও খুব ভাল লাগে, ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজ়িক বাজে। কিন্তু প্রেমের শেষটা খুব খারাপ। ওই পথে আর নেই।’’

Advertisement

মাপা খাবার, ফিট থাকার মন্ত্রে বিশ্বাসী সুমন ফলো করেন মিলিন্দ সোমনকে। আর অবসর পেলেই ভাল ইন্টারভিউ শুনে সময় কাটান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন