‘প্রজাপতি ২’ অনুমেঘা কাহালি, দেব, জ্যোতিমর্য়ী কুণ্ডু। ছবি: ফেসবুক।
প্রথম যখন শুনেছিলেন, গায়ে চিমটি কাটতে হয়েছিল! প্রথম যে দিন দেবদাকে দেখেছিলেন, ভয় পেয়েছিলেন! দ্বিতীয় গান প্রকাশ্যে আসতেই আহ্লাদে আটখানা বড়পর্দার নতুন নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু! প্রথম ছবিতেই বিপরীতে দেব। ভাবা যায়?
শুরুতে সত্যিই ভাবতে পারেননি। আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই জানালেন সে কথা। “এমনিতেই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না। লোকে আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে না, খুশি হয়েছি না কি দুঃখ পেয়েছি!” দেবও বুঝতে পারেননি, তাঁর সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সের পর নায়িকার অনুভূতি কেমন? ভাষায় বোঝাতে জ্যোতির্ময়ীর অবশ্য অসুবিধা নেই। তাঁর কথায়, “এত দিন যাঁকে পর্দায় দেখেছি, তাঁর বিপরীতে অভিনয়! কিছু বোঝার আগেই দেখি, সব দৃশ্য হয়ে যাচ্ছে!” এর জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিচালক অভিজিৎ সেনকে।
একফ্রেমে দেব আর জ্যোতির্ময়ী। ছবি: ফেসবুক।
তার পরেই হাসতে হাসতে বলেছেন, “পর্দায় এক মেয়ের বাবা হলেও দেবদার সঙ্গে রোম্যান্সে আপত্তি নেই! বাস্তবে নয় কিন্তু। বাস্তবে দেবদাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি।”
তার পরেই ফিরে গিয়েছেন প্রথম দেখার দিনটিতে। “দেবদা তখন ওজন বাড়িয়েছেন। মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ। ‘রঘু ডাকাত’ ছবির শুটিং সম্ভবত শেষ হয়নি। দেখে একটু ভয় ভয় করেছিল।” তার কিছু দিন পরে ছবির ‘লুক’। দেবকে দেখে জ্যোতির্ময়ীর মনে সে দিন হাজার প্রজাপতি ডানা ঝাপটেছিল! “দেখে আশ্বস্ত হলাম, এই তো আমার সেই ‘পাগলু’র দেবদা!” প্রযোজক-নায়কের সৌজন্যে লন্ডনে দীর্ঘ শুটিং। কাজের ফাঁকে বেড়ানো, খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটাও! দেবের জন্য কী কিনলেন? প্রথমে একটু থতমত। থমকে গিয়ে উত্তর হাতড়ে বেড়ানো। নায়িকা বলে উঠলেন, “আরে! দেবদার সঙ্গে সারা ক্ষণ থাকি নাকি? ওঁর কী পছন্দ কী করে জানব?”
কী মনে পড়তেই উচ্ছ্বসিত। “মিঠুন চক্রবর্তী এই ছবিতে। প্রথম ছবি আমায় কত কিছু দিল! কোনও দিন ভুলতে পারব না। ‘প্রজাপতি ২’-এর হাত ধরে আমার অনেক কিছু প্রথম। যেমন ভুলতে পারব না ধারাবাহিক ‘বঁধুয়া’র ‘পেখম’ চরিত্রকে।” এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন বলেই দেবের নায়িকা তিনি।
দেব, মিঠুন চক্রবর্তী, জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু, অনুমেঘা কাহালি। ছবি: ফেসবুক।
আগামী দিনে যদি উল্টোটা হয়? যদি দেব তাঁর বিপরীতে ছোটপর্দায় নায়ক হন?
সঙ্গে সঙ্গে তীব্র আপত্তি জ্যোতির্ময়ীর, “দেবদা ছোটপর্দায় এলে আমাদের কে ‘পাগলু’ উপহার দেবে?” তবে ছোটপর্দার নায়িকাদের বড়পর্দায় সুযোগ দেওয়ার ভাবনাকে তারিফ করেছেন তিনি। বলেছেন, “দেবদার মতোই সকলের ভাবা উচিত। অবশ্যই প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীদাও আছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছার সময় অন্তত মাধ্যম দেখা উচিত নয়।” এই ভাবনা থেকেই আগামী দিনে জ্যোতির্ময়ী আবার ছোটপর্দায় ফিরতে রাজি।
তা হলে নায়িকার গায়ে কবে প্রজাপতি বসবে? এ বার প্রাণখোলা হাসি জ্যোতির্ময়ীর। হাসতে হাসতে নায়িকা বললেন, “আরও ১০-১২ বছর যাক। তার পর বসতে দেব।”