শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে চাননি কাজল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
শাশুড়িকে ‘মা’ বলে ডাকতে পারবেন না। নিজের মা থাকতে অন্য কাউকে মা বলে ডাকার পক্ষপাতী নন তিনি। তা হলে নিজের শাশুড়িকে কী বলে ডাকতেন? সম্প্রতি বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা বললেন কাজল। সেই সঙ্গে এ-ও জানালেন, এই দাম্পত্য অনেক দিন আগেই ভেঙে যেতে পারত।
১৯৯৫ সালে প্রথম দেখা কাজল ও অজয়ের। তার পরে ১৯৯৭ সালে ‘ইশক’ ছবির সেট থেকে প্রেম শুরু দু’জনের। ১৯৯৯ সালে বিয়ে। সেই সময়ে কাজলের বয়স মাত্র ২৪। বিয়ের পরে কেমন হয়ে উঠতে হবে, কী কী করতে হবে, এই সব নিয়ে তখন কোনও ধারণাই তৈরি হয়নি অভিনেত্রীর।
কাজল বলেছেন, “সত্যি তখন জানতাম না, আমি ঠিক কী করছি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। বুঝতে পারছি না, আমার ঠিক কী করা উচিত, কেমন হওয়া উচিত। কী ভাবে কথা বলা উচিত, সেটাও আমার জানা ছিল না।”
অজয় দেবগণের মাকে অর্থাৎ শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে হবে, এই ভেবেও ঘাবড়ে গিয়েছিলেন কাজল। অভিনেত্রী বলেন, “কাকিমাকে এ বার মা বলে ডাকতে হবে? কিন্তু কেন? আমার তো মা রয়েছে।” এই প্রশ্ন প্রথম থেকেই জেগেছিল অভিনেত্রীর মনে। অজয়ের মাও বিষয়টি খুব সহজেই মেনে নিয়েছিলেন। পুত্রবধূর উপর কিছু চাপিয়ে দেননি তিনি। কাজল বলেছেন, “অজয়ের মা কখনওই আমাকে কিছু চাপিয়ে দেননি। পুত্রবধূ বলে আমাকে কোনও কিছু নিয়ে জোর করেননি। তিনি জানতেন, যা হওয়ার, তা নিজে থেকেই হবে।”
বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসাবে পরিচিত কাজল ও অজয়। দম্পতি হলেও তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ রসায়ন পছন্দ অনুরাগীদের। কাজল প্রাণোচ্ছ্বল, চঞ্চল। অন্য দিকে অজয় শান্ত ও মিতভাষী। বিপরীতধর্মী স্বভাবই নাকি তাঁদের একসঙ্গে জুড়ে রেখেছে। কাজল বলেছেন, “অজয় ও আমি পরস্পরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। না হলে আমরা এত দিন একসঙ্গে থাকতে পারতাম না। কবেই আমরা আলাদা হয়ে যেতাম!”
সুখী দাম্পত্য নিয়েও সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয় কাজলকে। অভিনেত্রী বলেন, “আমি এই কথাটা প্রায়ই বলি। সুখী দাম্পত্যের রহস্যই হল অর্ধ্বেক বধির হয়ে যাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে স্মৃতিভ্রমও সুখী দাম্পত্যের জন্য কার্যকর। সঙ্গীর বিষয়ে কিছু জিনিস ভুলে যাওয়াই ভাল। আর কানে কম শুনলে আরও ভাল!”
শুটিং-এর জন্য প্রায়ই বিভিন্ন পরিবার থেকে দীর্ঘ দিন দূরে থাকতে হয় কাজল ও অজয়, দু’জনকেই। সম্পর্কে এই দূরত্ব জরুরি বলে মনে করেন অভিনেত্রী।