পয়লা বৈশাখে কী করছেন সৌরসেনী মৈত্র? ছবি: ফেসবুক।
সন ১৪৩২ সৌরসেনীর মৈত্রের মুখে চিলতে হাসি ফোটাচ্ছে। তার ছটা সদ্য ক্যামেরাবন্দি। অভিনেত্রী কখনও সাদা, কখনও লাল আবার কখনও হলুদ পোশাকে সুন্দরী। কখনও গয়না বাছতে ব্যস্ত। কখনও অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধ জড়িয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি। এ বছর তিনি ব্যস্ত ‘আমার বস’ ছবির প্রচারে।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে সৌরসেনী নরম গলায় বললেন, “কখনও বাংলা নববর্ষে আমার ছবি মুক্তি পায়নি। এ বছর নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি মুক্তি পাচ্ছে মে মাসে। এই সুযোগে তবু তো নতুন বছরে বাংলা ছবির প্রচারে ব্যস্ত থাকব! এটাই বা কম কি? নতুন বছরে নতুন আশার সঞ্চার হবে। আমাদের ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাবেন দর্শক।” তার পরেই যোগ করেছেন, “এ বছর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাব, আগামী বছর থেকে প্রত্যেক পয়লা বৈশাখে যেন আমার একটা করে ছবি মুক্তি পায়। আমিও তো বাঙালি।”
১৩ এপ্রিল থেকে অভিনেত্রী উদ্যাপনের মেজাজে। ওই দিন তাঁর জন্মদিন। এ বছর বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়েই সারা দিন মেতেছিলেন। পয়লা বৈশাখ কী ভাবে কাটাবেন? প্রচার ঝলকের মতো লাল, হলুদ না কি সাদা পোশাকে সাজবেন তিনি? পোশাক মিলিয়ে গয়নাও পরবেন নিশ্চয়ই? লাল, হলুদের থেকেও সাদা রং অভিনেত্রীকে বেশি আকর্ষণ করে। সাদা শান্তির, স্নিগ্ধতার প্রতীক। তাই সাদা রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজাবেন অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিমছাম গয়না। সেটা সোনার হতে পারে কিংবা রুপো বা হিরের।
১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল খাওয়াদাওয়ায় কোনও সংযম নেই। “বাংলা নববর্ষে বাঙালি মিষ্টি খাবে না! অন্য সব খাবার মেপে খাব। কেবল মিষ্টির বেলায়...” বলতে বলতে হেসে ফেললেন সৌরসেনী। আর সব দিক থেকে বাঙালি হলেও মিষ্টির বেলায় ব্যতিক্রম। রসগোল্লা নয়, অভিনেত্রীর মুখে হাসি ফোটাতে পারে গোলাপ জামুন।