কালীপুজোয় শ্রীময়ী-কাঞ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
অভিমান হয়েছিল মা কালীর উপর। তাই কালীপুজোর দিন বাড়ি অন্ধকার রেখে অন্য কারও বাড়িতে চলে যেতেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সেই অভিমান মিটিয়েছেন স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। এই পুজোর দিনেই অভিনেতার মায়ের সঙ্গে ঘটেছিল ভয়াবহ ঘটনা। তাই মা কালীর উপর অভিমান করে পুজো বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কাঞ্চন। তার পর কী ভাবে স্বামীকে বোঝালেন শ্রীময়ী?
বাড়ির কালীপুজোয় শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের আগে থেকেই এই সংসারকে আপন করেছিলেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের বাড়ির যাবতীয় টুকিটাকি সবটাই থাকত তাঁর নখদর্পণে। শ্রীময়ী বলেন, “এক কালীপুজোর রাতে আগুন লেগে মায়ের শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর অন্য এক বার কালীপুজোর দিনে মায়ের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে গিয়েছিল। তার পরেই মা কালীর উপর অভিমান হয়েছিল কাঞ্চনের।” তাই দীপাবলির রাতে কিছুতেই বাড়িতে থাকতে চাইতেন না কাঞ্চন। ২০২০ সালে মাকে হারান অভিনেতা।
শ্রীময়ীর কথায়, “২০২১ থেকে আমি আবার পুরনো বাড়িতেই কালীপুজো শুরু করি। কাঞ্চনকে বলেছিলাম, মা চাইছে যেন আবার পুজো হয়। পুজোর দিনে কারও বাড়িতে না গিয়ে আবার আমরা শুরু করি সবটা। কিছু হবে না।” কালীপুজো এমনিতেই অনেক নিয়ম মেনে করতে হয়। পুজোর দিনে জল পর্যন্ত মুখে দেন না শ্রীময়ী। ২০২৪ সালে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও উপোস করে মায়ের পুজো করেছিলেন অভিনেত্রী।
শ্রীময়ী যোগ করলেন, “কালীপুজোর এক দিন পরেই তো কৃষভি হয়েছে। তখন এত ঘণ্টা উপোস করা বারণ ছিল। কিন্তু আমি তাও কিছু মুখে দিইনি। বাড়িতে সবাই খুব বকেছিল। কিন্তু তাও একটু নিয়ম না মানলে মন খুঁতখুঁত করত। তবে একেবারে নির্জলা উপোস করতে পারিনি। ডাবের জল খেয়েছিলাম।” প্রতি বছরই কালীপুজোর আগে নিয়ম মেনে চোদ্দশাক খান অভিনেত্রী। চোদ্দপ্রদীপ দেন সারা বাড়িতে। এই বছরও তাঁর অন্যথা হবে না। আর এই বছরে তো বাড়তি পাওনা কৃষভি! মেয়েকে নিয়ে পুজোর সবটা করার ইচ্ছা রয়েছে শ্রীময়ীর।