পুরীতে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’র শুটিংয়ে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
পুরীর জগন্নাথধামে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির শুটিং চলছে পুরোদমে।
জগন্নাথদেব দর্শন হয়েছে। পুজো দেওয়া, ধ্বজা ওড়ানো, ভোগ খাওয়া—সবটাই মিটেছে নির্বিঘ্নে। দশ-বারো বছর ধরে যে জগন্নাথদেবের আরাধনা করে আসছেন, সেই জগন্নাথের সামনেই মন্দিরচত্বরে অভিনয় করতে পারবেন, এমনটা কখনও ভাবেননি!
ভাবে বিভোর শুভশ্রী। আচমকা ছবির পুরনো গানের সুর কানে যেতেই তাঁর চোখে অঝোর জলের ধারা। এমন যে কত বার হয়েছে!
ছবিতে তিনি সৃজিতের ‘বিনোদিনী’। হঠাৎ এমন কী ঘটল যে এ ভাবে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী? শুটিংয়ে উপস্থিত আনন্দবাজার ডট কমের প্রতিনিধি। তিনি প্রশ্ন রাখতেই জবাব এল, “আমি এ রকমই। প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। যা করি অন্তর থেকে করি। নিজেকে উজাড় করে দিই অভিনীত চরিত্রে। ফলে, আজ পর্যন্ত কান্নার দৃশ্যে কোনও দিন গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়নি। নিজে থেকেই চোখে জল এসে যায়।”
পুরীতে বাঙালি তারকাদের আনাগোনা থাকেই। এই মুহূর্তে যেমন প্রযোজক রানা সরকার, অভিনেতা-মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সুরকার-পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, ইশা সাহা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, দিব্যজ্যোতি দত্ত, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, যিশু সেনগুপ্ত জগন্নাথধামে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুটিংয়ে ব্যস্ত সবাই।
শুটিংয়ের অবসরে শুভশ্রী, সৃজিত, ব্রাত্য এক ফ্রেমে। নিজস্ব ছবি।
জরিপাড় সবুজ বালুচরি, কানে, গলায়, হাতে পুরনো আমলের গয়না। চুলের ছাঁদেও সাবেকি ছোঁয়া। বড়সড় বিনুনি, বাহারি খোঁপা। তাতে সোনালি কাঁটা। হাতে বাহারি বটুয়া। ‘গিরিশ ঘোষ’ ব্রাত্যর সঙ্গে ‘বিনোদিনী’ বেড়াতে এসেছেন জগন্নাথ ধামে। সেই দৃশ্যের শুটিং হল জগন্নাথের মন্দিরে।
তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিচালকও। অভিনেত্রীর কেমন অভিজ্ঞতা? “এত ভাল লাগছে যে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়!”, বললেন শুভশ্রী। এ-ও জানালেন, তাঁর অভিনীত সেরা চরিত্রগুলোর অন্যতম হয়ে থাকবে ‘বিনোদিনী’ চরিত্র। সৃজিত তাঁকে বেছেছেন। তার জন্য তিনি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। শুভশ্রীর কথায়, “প্রত্যেকটি চরিত্রে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের চেষ্টা করি। এই প্রচেষ্টা ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’তেও জারি থাকবে।”
ইতিমধ্যেই কলকাতায় ছবির একপ্রস্থ শুটিং হয়েছে। মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শ্রীচৈতন্য’-এর বেশে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী। এই অংশে শুভশ্রীর সহ-অভিনেতা তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক।