কেন ভয় পেয়েছিলেন বিদ্যা? ছবি: সংগৃহীত।
চোখে মোটা চশমা। হাত-পা রোগা। কিন্তু শরীরের তুলনায় মাথা অনেকটাই বড়। বয়স ১২। কিন্তু চোখে মুখে বার্ধক্যের ছাপ। বিরল জিনগত রোগ প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত কোষের বয়স বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনই এক শিশুর কাহিনি বড় পর্দায় বলেছিলেন পরিচালক আর বালকি। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সেই শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এমন লম্বা-চওড়া গড়নের মেগাস্টারকে প্রোজেরিয়া আক্রান্ত ১২ বছরের শিশু হিসাবে দেখা যাবে তা কেউ কল্পনাই করতে পারেননি। তারই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন, বাবার চরিত্রে অভিষেক বচ্চন।
ছবিতে বিদ্যাকে দেখা গিয়েছে কখনও ছেলেকে কোলে নিয়ে খাওয়াচ্ছেন, কখনও বকছেন। সে সময় বেশ কিছু বাণিজ্যিক ছবিতে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করে ফেলেছেন বিদ্যা। পেয়েছেন সাফল্য। ঠিক সেই সময় ১২ বছরের শিশুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা বা অমিতাভের মায়ের চরিত্রে রাজি হওয়া— নিয়ে নানা জনের নানা মত ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ১৬ বছর আগের স্মৃতিচারণ করেন নায়িকা। সে সময় নাকি তাঁকে অনেকেই বলেছিলেন, মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হওয়া মানেই নিজের কেরিয়ারকে শেষ করে ফেলা। কিন্তু এই লোভনীয় সুযোগও হাতছাড়া করতে চাননি অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেন, “আর.বালকি যখন আমায় বলেছিলেন মিস্টার বচ্চনের মায়ের চরিত্রে আমি আর বাবা হবে অভিষেক। ভেবেছিলাম উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু চিত্রনাট্য শুনে মন বলছিল, ছবিটা করতে হবে। সে সময় অনেকেই ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে।”
তবে অন্যের উপদেশ নয়, নিজের মনের কথাই শুনেছিলেন বিদ্যা। সে সময় এই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছিলেন নায়িকার দুই বন্ধু। এক জন লেখক আর অন্য জন্য বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরি করেন। এ ভাবেই নিজেকে ‘ডক্টর বিদ্যা’ চরিত্রের জন্য তৈরি করেন অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, বিদ্যাকে শেষ বার দর্শক দেখেছেন ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতে।