অপর্ণা কি বুঝতে পারবে আর্যকে? ছবি: সংগৃহীত।
অপর্ণার প্রতি যে প্রথম দিন থেকেই আর্যর মন নরম হয়েছে তা ধারাবাহিকের প্রথম দৃশ্যেই স্পষ্ট। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে নায়িকা এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। এ দিকে নায়ক উদ্যোগপতি, ২৯টি সংস্থার মালিক। ধারাবাহিকের এমন কাহিনি আগেও দেখেছেন দর্শক। অসমবয়সি প্রেম সব সময়ই দর্শকের প্রিয়। এই ধারাবাহিকের কাহিনিও খানিকটা তেমনই। নিজে উদ্যোগী হয়ে নায়িকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল আর্য। কিন্তু সেই বিয়েও ভেঙেছে। সেই গল্প দেখানোর পরেই দর্শকের ধারণা হয়েছিল এই বুঝি তা হলে নায়ক-নায়িকার প্রেম জমল বলে। কিন্তু এত সহজে কি নায়ক-নায়িকার মিল হয়? সেই প্রেক্ষিতেই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে নতুন মোড়।
খলনায়িকা মীরা যে কোনও না কোনও ভাবে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করবে নায়িকাকে, সেটা গত কয়েকটি পর্বেই স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু নায়িকা কি সহজে বিপদে পড়ে! সে জানে কী ভাবে পরিস্থিতি সামলে ওঠা যায়। মিটিংয়ে সকলের সামনে অপর্ণাকে অপ্রস্তুত করে দেওয়ার ছক কষে ফেলেছিল মীরা। কিন্তু বুদ্ধি করে সবটা সামলে নেয় নায়িকা। তার এই বুদ্ধিদীপ্ত ভাবনাচিন্তা যে আরও বেশি আর্যকে আকর্ষিত করে তা নায়কের চোখেমুখে স্পষ্ট। এই ঘটনাই কি আরও কাছাকাছি আনবে আর্য আর অপর্ণাকে?
খুব তাড়াতাড়ি যে তেমনটা হবে না ধারাবাহিকের প্রোমো সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। উল্টে মান-অভিমানের আরও বাড়তে চলেছে। অপর্ণাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে দেখে বিরক্ত আর্য। যার সঙ্গে নায়িকার বিয়ে ভেঙেছিল, তার বাইকে চেপেই অফিস এল সে। সেই দৃশ্য দেখেই রেগে লাল নায়ক। অপর্ণার হাত থেকে ওষুধ পর্যন্ত খেল না সে। এই মান-অভিমান কি তা হলে ভালবাসা বাড়বে? নতুন গল্পে সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক। তবে পর্দায় যাই হোক না কেন, বাস্তবে দিতিপ্রিয়া রায় এবং জীতু কমল ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছেন। ক্যামেরার পিছনের সেই সমীকরণই আগামী দিনে হয়তো আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এই জুটিকে।