হৃতিক-কঙ্গনার এই ছবিই টুইটারে পোস্ট করেছেন রঙ্গোলি। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
কখনও হৃতিক ফেসবুক পোস্ট করছেন। কখনও তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন কঙ্গনা। তোপ আর পাল্টা তোপে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা বি-টাউন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে হৃতিকের বিরুদ্ধে কঙ্গনার অভিযোগের দাঁড়ি টেনে বৃহস্পতিবারই হৃতিক জানিয়েছেন, তাঁরা কোনদিনই একান্তে সময় কাটাননি। পরস্পরের সঙ্গে দেখাও করেননি।
আরও পড়ুন: কখনও একান্তে সময় কাটাইনি, কঙ্গনাকে নিয়ে মুখ খুললেন হৃতিক
অন্যদিকে ফের পাল্টা তোপ দেগেছেন কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। হৃতিকের ফেসবুক পোস্টের দাবিকে উড়িয়ে টুইটারে এ দিনই তিনি হৃতিক-কঙ্গনার কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে রঙ্গেলির বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘হৃতিকের কথা মতো মিডিয়ায় তুলে ধরা ছবি ছিল ফোটোশপের কারসাজি। এইবার প্রমাণ করুক, এই ছবিগুলি আসল না নকল?’’
আরও পড়ুন: কঙ্গনার ‘বুড়ো কাকা’ হৃতিক!
কঙ্গনাকে হৃতিকের পাঠানো একটি মেলও তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তিনি।
বিতর্কের জল গড়িতে না গড়াতেই আসরে নেমেছেন কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি। তিনি জানান, কঙ্গনার তোলা সব অভিযোগকেই সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন হৃতিক। এ বার মক্কেলের তরফ থেকে তিনি কিছু প্রশ্ন রাখতে চান।
• প্রথমত, হৃতিক জানতেন ২০১৪ সালের মে থেকে কঙ্গনার মেল আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাহলে কী ভাবে তিনি একটা হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে হাজারেরও বেশি মেল রিসিভ করেছেন এবং সেগুলো সেভ করেও রেখেছেন? চিন্তার বিষয়!
• হৃতিক রোশন বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা। তাহলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেন নি কেন? মেল গুলো ডিলিট না করে একটা হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মেল রিসিভ করলেনই বা কেন?
• আমার মক্কেল যখন আইনি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিল, হৃতিক কেন তাতে সায় দেন নি। পুলিশের কাছে মিথ্যে বলেছেন কেন? অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করেন নি কেন হৃতিক?
• পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হৃতিকের সাত মাস সময় লেগে গেল? এতদিন তিনি কী করছিলেন? শুধু ইমেল সংগ্রহ করে যাচ্ছিলেন?
• ব্যক্তিগত ভাবে দাবি করা ফরেন্সিক রিপোর্টের উপরই নির্ভর করতে হল কেন হৃতিককে?
• আমার মক্কেল এবং হৃতিকের গৃহ চিকিৎসক একই। হৃতিক জানতেন কঙ্গনার কোনও মানসিক রোগ নেই। তাহলে এমন অদ্ভুত ইমেল তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে আনলেন কেন?